কাকদ্বীপে সিপিএম দম্পতির পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশি তদন্তে ভরসা নেই কলকাত🧔া হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এই ঘটনায় পুনরায় তদন্তের জন্য কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেনকে দায়িত্ব দিলেন বিচারপতি। তাঁর নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করে এই ঘটনার পুনরায় তদন্ত করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। সিটের করা তদন্তের উপর ভিত্তি করে এই মামলার বিচার করবে হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশের ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধাক্কা খেল রাজ্য পুলিশ।
পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট꧅ হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৃত দম্পতির ছেলে দীপঙ্কর দাস। তিনি নিজে একজন আইনজীবী। ২০১৮ সালের ১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন রহস্যজনকভাবে আগুনে পড়ে মৃত্যু হয় দেবু দাস এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা দাসের। তাঁরা সিপিএম কর্মী ছিলেন। সেই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃ♏ণমূলের বিরুদ্ধে। মৃত দম্পতির ছেলে দীপঙ্কর দাস ঘটনায় কাকদ্বীপ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে বেশ কয়েকজনের নাম দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, দেখা যায় এফআইআরে যাদের নাম ছিল তাঁদের গ্রেফতার না করে অন্যদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই মামলার চার্জশিটও পেশ করে পুলিশ।
এদিকে, পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট হননি দীপঙ্কর। তাঁর অভিযোগ, ১৪ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেꦚছিল তাঁদের নাম এফআইআরে ছিল না। তাঁরা সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট দময়ন্তীর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে ঘটনার পুনরায় তদন্ত করতে বলেছে। সেই সঙ্গে কাকদ্বীপ পুলিশের চার্জশিটেও স্থগিতাদেশ ཧদেওয়া হয়েছে।