আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক পদে প্রায় ৪০০ জনকে চাকরি দিতে হবে। এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তবে সাম্প্রতিক কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয়, পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলের শেষের দিকে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, সেটির আওতায় হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে প্রায় ৪০০ জনকে চাকরি দিতে বলেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মান্থা জানিয়ে দিয়েছেন, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরু♔দ্ধে যাঁরা যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁদের সবাইকেই চাকরি দিতে হবে। আর সেজন্য তিন মাসের ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা।
বিষয়টা ঠিক কী হয়েছে? কবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল?
পশ্চিমবঙ্গে বাম আমলের শেষলগ্নে প্রায় ১,৯০০টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। পরের বছরই শুরু হয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে নতুন করে প্রকাশ করেছিল প্যানেল। সেটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন চা🎃করিপ্রার্থীদের একাংশ। কলকাতা হাইকোর্ট হয়ে সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছেছিল।
তখন সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে বাম আমলে যাঁরা ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবেন। নতুন কোনও প্রার্থীকে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুয𓄧োগ দেওয়া যাবে না। সেই নির্দেশ মতো কাজ করেছিল রাজ্য সরকার। ২০১৪ সালে শুরু করা হয়েছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া।
যদিও পরবর্তীতে কয়েকজন চাকরিপ𓂃্রার্থী হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে প্যানেল তৈরি করেছ🌟ে রাজ্য সরকার। প্যানেলে ঢোকানো হয়েছে প্রচুর নয়া আবেদনকারীর নাম। শুধু তাই নয়, অযোগ্য প্রার্থীদেরও চাকরি দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও কয়েকজন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
একটা সময় সেই মামলা শুনতেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কয়েকজনকে চাকরি প্রদানের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। আর মঙ্গলবার প্র𝄹ায় ৪০০ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে তিন মাসের মধ্যে ওই চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগ করতে হবে।