আজ, মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের খবর করার উপর নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য সন্দেহজনক বিষয়ে নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে সতর্কতার সঙ্গে খবর পরিবেশন করতে হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য💖ায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় গোপনীয়তার অধিকার রক্ষার আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানে শুনানি চলাকালীন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সংবাদমাধ্যম, দু’জনের ভূমিকা নিয়ে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ শোনান বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে রুজিরার বক্তব্য, তাঁদের গোপনীয়তার অধ꧅িকার খর্ব করা হচ্ছে। অর্ধসত্য খবর প্রকাশিত হচ্ছে। তাই সংবিধান মেনে রক্ষাকবচ চান তিনি। এই মামলার শুনানি ছিল মঙ্গলবার। আর ভরা এজলাসে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, ‘সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টিং সঠিক উদ্দেশে হতে হবে। মতামতমূলক লেখা থেকে স্পষ্টভাবে খবরের বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। আর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অযথဣা অনুমান নির্ভর প্রতিবেদন লেখা যাবে না।’ এই মামলায় ইডি এবং সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ শোনানো এবং ক্ষমতা বেঁধে দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে কলকাতা ✤হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের শর্ত হিসাবে জানিয়ে দেয়, এবার থেকে কোনও ‘সার্চ অ্যান্ড সিজার’ করার সময় লাইভ স্ট্রিমিং করা যাবে না। ইডি তার অভিযান করার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবে না। ইডি সংবাদমাধ্যমকে নিয়ে গিয়ে কোনও তল্লাশি অভিযান চালাতে পারবে না। সার্চ অ্যান্ড সিজার’ করার বিষয়ে আগে থেকে কোনও কিছু প্রকাশ্যে নিয়ে আসা যাবে না। সংবাদমাধ্যমে কোনও খবর করলে অভিযুক্তের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। চার্জশিটের আগে কোনও ছবি ছাপা যাবে না। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
আরও পড়ুন: শ্রীভূমির দুর্গাপুজোর জেরে ✃আটকে গেল অ্যাম🍸্বুলেন্স, কানেই তুলল না কেউ হুটারের শব্দ
আর কী জানা যাচ্ছে? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কখন ইডি ডাকছেন, অভিষেক ইডিকে কোন নথি পাঠাচ্ছেন, আবার কবে ডাকা হবে, কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হল— এসব নিয়ে নানা তথ্য প্রকাশ পায়। সেগুলির অধিকাংশই ইডি দিয়ে দেয় বলে দাবি অভিষেক–রুজিরার। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমি যে নথি ইডিকে পাঠাচ্ছি কিছুক্ꦡষণ পর সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেটা কেমন করে সম্ভব? সংবাদমাধ্যম নানা কাল্পনিক কথা লিখছে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাঁদেরকে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে।’ ইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।