কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল স্কুলশিক্ষা দফতর। সিআইডি–কে কনসেন্ট না দেওয়ার ফলে স্কুলশিক্ষা দফতরকে ভরা এজলাসে কথা শুনতে হল। জেলা সহ–স্কুল পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেমের বিষয় ছিল। আর সেই কাজ করার বিষয়ে খোদ সিআইডিকে কনসেন্ট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল স্কুলশিক্ষা দফতরকে। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে অন্যের নথি ব্যবহার করেছিলেন প্রধান শিক্ষক। আর সেটা করেই নিজের ছেলে𓄧কে কয়েক বছর ধরে শিক্ষক হিসেবে বেতন পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিআইডি তদন্ত করছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই।
সিআইডি যখন এই তদন্ত শুরু করে তখন চার্জ ফ্রেমের বিষয় ছিল। কিন্তু স্কুলশিক্ষা দফতরের কনসেন্ট না মেলায় তা থমকে যায়। এবার বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিআইডি। তখন সিআইডি কলকাতা হাইকোর্টের ভরা এজলাসে জানিয়ে দেয়, স্কুল পরিদর্শকের (এআই) বিরুদ্ধে চার্জ ফ্রেম করতে হলে স্কুলশিক্ষা দফতরের কনসেন্ট দরকার। কিন্ত বারবার আবেদন করা হলেও স্কুলশিক্ষা দফতর তাতে অনুমতি দেয়নি। যা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘রাজ্য সဣরকারের তদন্তকারী সংস্থাও রাজ্যের অনুমতি পেল না! এআই–কে ধরতে দেবেন না বলেই কি অনুমতি দিচ্ছেন না? কেন রাজ্য অনুমতি দেয়নি সে বিষয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে টালা থানায় সিবিআই, কলকাতা ꦦহাইকোর্টের নির্দেশের পরই সক্রিয়