শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন। তারপর থেকে শুভেন্দ꧅ু নিজেও বারবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই মামলায় আগেই বিরোধী দলনেতাকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার তা নিয়ে রাজ্যের কাছে বিরোধী দলনেতার নামে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার কেস ডায়েরি তলব করলেন বিচারপতি। আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশকে। আগামী ৮ অগস্টের মধ্যে জমা দিতে হবে বলে পুলিশকে সময় বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হ🐬াইকোর্ট।
এদিকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আপাতত ২৬টি অভিযোগ রয়েছে রাজ্য পুলিশের কাছে। ওই ২৬টি মামলায় তাঁকে আগেই ‘রক্ষাকবচ’ দিয়ে রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, বৃহস্প🅠তিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ওই ২৬টি মামলারই এবার কেস ডায়েরি চেয়েছেন। আর অন্তর্বর্তী নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীকে যে ‘রক্ষাকবচ’ দেওয়া হয়েছিল, সেটা এখনও বহাল রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ বহাল রাখলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ–বিভ্রাট নিয়ে জনতা🐬–পুলিশ খণ্ডযুদ্ধ, মালদায় আক্রান্ত পুলিশ, গুলিতে আহত ২
অন্যদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে রাজ্যের নানা থানায় মোট ২৬টি অভিযোগ জমা রয়েছে। তার মধ্যে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে পুলিশ যেমন কয়েকটি মামলা দায়ের করেছিল তেমনই তাঁর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা–সহ বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পরিবারের পক্ষ থেকেও বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জমা করা হয়েছিল। তবে ২৬টি মামলা নানারকমের। সেসবের কেস ডায়েরি কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ার পর বিচারপতি কী ෴নির্দেশ দেন সেটাই দেখার বিষয়। কয়েক মাস আগে ‘খলিস্তানি’ মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ান শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চেয়েও করতে পারেনি রাজ্য। আজকের নির্দেশের পরে অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা নিয়ে এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় কলকাতা হা🍸ইকোর্ট।
এছাড়া ২০২২ সালে একাধিক মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। কলকাতা হাইকোর্টের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, দলবদলের পর থেকেই মিথ্যে মামলায় তাঁকে হয়রানি করা হচ্ছে। তাই মামলাগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক না হলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। তখন প্রত্যেকটি মামলায় বিরোধী দলনেতাকে রক্ষাকবচ দেন বিচা🔯রপতি রাজাশেখর মান্থা। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে𒈔 দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না শুভেন্দুর বিরুদ্ধে।