কলকাতা হাইকোর্টের রায় হাতে নিয়ে পথে নেমেছিল কলকাতা পুরসভা। হকারদের ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করার ঘটনায় আমজনতার পথ চলতে অসুবিধা হয় বলে অভিযোগ। তাই হকারদের একসারিতে নিয়ে এসে ফুটপাতের বাকি অংশ খালি করার কাজ করতে শুরু করে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু তারপরও আবা🍌র ফুটপাথ দখলের অভিযোগ তলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। ধর্মতলার পর এবার উঠে আসে কলেজ স্ট্রিট। আর সেখানে ১৫ দিনের মধ্যে দখল হওয়া ওই ফুটপাথ খালি করতে কলকাতা পুরসভাকে নির্দেশ দ🌠িল কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিকে মহানগরীর রাস্তা দখল করে হকার–রাজ মেনে নিতে রাজি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর এই ফুটপাত দখল করা নিয়ে মামলাও হচ্ছে আদালতে। এই আবহে কলকাতা পুরসভাকে নানা সময়ে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল। তার জেরেই গ্র্যান🏅্ড হোটেলের সামনের এলাকায় হকার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয় কলকাতা পুরসভা। গড়িয়াহাট, লেক মার্কেট–সহ নানা জায়গায় হকারদের একসারিতে নিয়ে এসে ফুটপাত খালি করা হয়েছে। তবে শহরের অন্য এলাকাগুলি থেকে এই অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে এবার নতুন পথ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। আজ, শনিবার তার শুনানিতে উঠে আসে কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর বরোর ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড তথা কলেজ স্ট্রিট এলাকা। সেখানে তিন মিটার চওড়া একটি ফু🔥টপাথের ২ মিটার দখল হয়ে গিয়েছে হকা𒆙রদের জন্য। সেটা নিয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এই ঘটনার কথা শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বেশ অবাক হন। আর বিচারপতি ফুটপাথের ছবি দেখেবলেন, ‘এটা তো ফুটপাথের গোটাটাই দখল হয়ে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা কী করছে?’
আরও পড়ুন: ‘বালিকা বধূ’র সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বাংলায়,♉ ল্যানসেটের তথ্য নিয়ে ꦆতুমুল আলোড়ন
এই কথা শোনার পর এগিয়ে আসেন কলকাতা পুরসভার আইনজীবী। তিনি বিচারপতি কে জানান, আদালত নির্দেশ দিলে ফুটপাথ খালি করে দেওয়��া হবে। তখন বিচারপতি বলেন, ‘আদালত নির্দেশ না দিলে আপনারা ফুটপাথ খালি করবেন না? ধরে নিন, আদালত কোনও নির্দেশ দিচ্ছে না। বলুন, আপনারা কতদিনের মধ্যে নিজে 🌺থেকে ফুটপাথের ওই অংশ খালি করবেন?’ এই মন্তব্য বেশ চাপে পড়ে যান কলকাতা পুরসভার আইনজীবী। তখন বিচারপতি জানান, ১৫ দিনের মধ্যে ফুটপাথ খালি করবে কলকাতা পুরসভা। সাহায্য করবে বউবাজার থানা। ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।