আনিস খান হত্যাকাণ্ড মামলায় নিম্ন আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদের জারি করল না কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি টিএ✨স শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছেন, নিম্ন আদালতেই বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এখন সিবিআই তদন্ত নয়। সুতরাং সিটের উপরই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট বলে মনে করা হচ্ছে। আনিস খানের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছাত্রনেতার বাবা সেলিম খান। পরিবারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছিল। আজ, মঙ্গলবার ওই মামলায় পরিবারের আর্জি খারিজ করে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট পুরনো নির্দেশই বহাল রাখলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে ডিভিশন বেঞ্চ আজ জানিয়েছে, এখনই সিবিআই তদন্ত নয়। ছাত্রনেতা খুনের মামলায় গঠিত সিট তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে। তাদের দেওয়া রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হবে। ৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। তবে ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আনিস খানের পরিবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিবারের অভিযোগ, সিআইডি’꧙র তদন্তে ত্রুটি আছে। তাই প্রথমে নিম্ন আদালতে পিটিশন ফাইল করে আনিস খানের পরিবার। কিন্তু নিম্ন আদালতে সেই আবেদন খ꧟ারিজ হয়ে যায়। তখন কলকাতা হাইকোর্টে যান আনিসের বাবা সেলিম খান। সেখানে গিয়েও সিবিআই মিলল না।
অন্যদিকে সম্প্রতি আনিস খান হত্যা মামলায় চার্জশিট ফাইল করেছে সিআইডি। কিন্তু চার্জশিটে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহত ছাত্রনেতার পরিবারের সদস্যরা। এই কারণে ছাত্রনেতার পরিবার চেয়েছিল, বিচারপতি তাঁদের আবেদন একবার বিবেচনা করে দেখুন। তাই আনিস খানের পরিবারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয়, সিআইডি তদন্তে তাঁরা ভরসা করতে পারছেন না। রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা যে তদন্ত করছে সেটায় ত্রুটি রয়েছে। তাই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্ꦑজ করে কলকাতা হাইকোর্টের গিয়েছিল আনিসের পরিবার। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সেই আবেদন খারিজ করে দেন। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশই এদিন বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চও।
আরও পড়ুন: বাংলার ১৩ জন শ্রমিক আটকে দ🍬ুবাইতে, বিদেশমন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ সুকান্ত
এছাড়া ২০২২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হাওড়ায়🐭 নিজের বাড়ির ছাদ থে𝔍কে পড়ে মৃত্যু হয় ছাত্রনেতা আনিস খানের। তবে এই মৃত্যু রহস্যজনক বলেই উঠে আসে। তাঁকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আঙুল ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। কিন্তু সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃত ছাত্রনেতার পরিবার। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয়। এবার ফের কলকাতা হাইকোর্টের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। তাও খারিজ হয়ে গেল।