প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার অসহযোগিতা করছে। বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এবার সেই অভিযোগের ভিত্❀তিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ১০০ দিনের কাজ–সহ নানা প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে মোদী সরকার। এই নিয়ে বারবার সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। এব𒐪ার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে অসহযোগিতার অভিযোগে কেন্দ্রের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা–সহ নানা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৫ দিন নয়াদিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রামলীলা ময়দানে তা করত চেয়ে পুলিশকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তার মধ্যেই এই মামলা এবং তাতে কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রের হলফনামা তলব করার ফলে সরগরম হয়ে উঠেছে ইস্যু। আগামী ৯ অক্টোবর তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার ন♛ির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে নয়াদিল্লিতꦰে পাঠানো তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি কেন্দ্রীয় সরকার, সেখানে টাকা আটকে রাখা হয়েছে কেন?
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পে তারা কোনও আর্থিক সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ। ২০১৬ সালের এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের ৬০ শতাংশ অর্থ এবং রাজ্য সরকারের ৪০ শতাংশ অর্থ যুক্ত করার কথা। দরিদ্র এবং নিম্ন আয়ের মানুষজনদের মাথায় পাকা ছাদ করে দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কাঁচা বাড়িকে পাকা বাড়িতে গড়ে তুলতেই এই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাকে এই যোজনায় বঞ্চিত রেখেছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রের ভাগের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখে দেওয়ায় কাজ আটকে রয়েছে গোটা প্রকল্পের। তার জেরে মানুষ পাকা বাড়ি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।ཧ
আরও পড়ুন: শহরে কি বাড়তে চলেছে সম্ℱপত্তি কর? কলকাতা পুরসভা বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে
আর কী জানা যাচ্ছে? এই প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে এই প্রকল্পে টাকা দিলেও বাংলার ক্ষেত্রে বারবার বৈষম্য করছে। ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২.৩৪ কোটি প𒐪াকা বাড়ি নির্মাণ করার কথা রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অসহযোগিতার জেরে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তখনই আগামী ৯ অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হলফনামা দিয়ে কেন্দ্রকে বক্তব্য জানাতে আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।