ভারত-কানাডার সম্পর্কের অবনতির ইস্যুটি এবার আঁচ ফেলল বাংলার রাজনীতিতে। গতরাতে কার্যত জাস্টিন ট্রুডোর সমর্থনে একাধিক পোস্ট করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। এই আবহে সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমোকেই তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী। সাগরিকার একটি পোস্টকে শেয়ার করে সেখানে একাধিক প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। (আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি জড়িত আর্থিক তছরুপের সঙ্গে, আমাদে♍র হাতে প্রমাণ আছে: ইডি)
আরও পড়ুন: কানাডা ইস্যুতে মোদীর পাশে CPIM, ট্রুডোর 'সুরে' কেন্দ্রকে প্রশ্ন TMC সাংসদে꧙র
আরও পড়ুন: মেয়ের ঘটনায় পুলিশই তথ্য প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছে: আরজি করের নির্যꦦাতিতার মা
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নিজের পোস্টে লেখেন, 'তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে আমার প্রশ্ন, কীসের ভিত্তিতে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হয়েছিল সাগরিকা ঘোষকে? কারণ, তিনি দেশ বিরোধী? নাকি তিনি বিদেশি শক্তির তাবেদারি করতে পারেন? আর নাকি তিনি যতবার টুইট করেন বা মুখ খোলেন, তাঁর বোকামো সামনে এসে পড়ে? সঠিক জবাব হল - ওপরের সবকটি অপশন। শাসকদলের বিরোধিতা করা এক জিনিস। তবে দেশকে ছোট করে দেখানো খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এক বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থনে আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আঙুল তোলা হচ্ছে, যেখানে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। এটা গ্রহণযোগ্য় নয়। তৃণমূলকে স্পষ্ট করে দিতে হবে যে এই সব বক্তব্য সাগরিকা ঘোষের ব্যক্তিগত মত নাকি দলীয় ভাবে কোনও টুলকিটকে সমর্থন করা হচ্ছে? একই সঙ্গে দুটো হতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আবেদন, আপনি মুখ খুলুন। আপনি হয় ভারতের পক্ষে নয় দেশের বিপক্ষে।' (আরও পড়ুন: অনশনের মাঝে জুনিয়র 💫ডাক্তারদের দাবি মে💙নে পদক্ষেপ সরকারের, কী বললেন দেবাশিসরা?)
সাগরিকা ঘোষ কী বলেছিলেন?
এর আগে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নিজের পোস্টে সাগরিকা লেখেন, 'এক বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান অভিযোগ করছে যে তাঁর দেশে মোদী সরকার বেআইনি অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালাচ্ছে। আর তা নিয়ে আমাদের নন-বায়োলজিকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না? কেন জাস্টিন ট্রুডো এই ধরনের অভিযোগ করছেন? কেন ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকল? এই সবের মাঝে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভূমিকা কী? মেরুদন্ডহীন ভারতীয় মিডিয়া আনুগত্যের ট্রাম্পেট বাজাতে থাকবে। তবে অন্য কোও সরকার হলে এই সব বিস্ফোরক তথ্যের চাপে পড়ত।' এদিকে অপর এক পোস্টে কনাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বয়ানের ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। এদিকে ভারত-কানাডা ইস্যুতে যে আমেরিকা কানাডার পক্ষ নিয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনের লিঙ্কও শেয়ার করেছেন সাগরিকা। (আরও পড়ুন: আমরা চেয়েছ🍬িলাম কানাডার দাবিকে গুরুত্ব দিক ভারত, তবে তারা তো অন্য পথে হাঁটছে: USA)
আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় ১০টি ভর♑তীয় উড়ানে বোমাতঙ্ক, একের পর এক বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
ঠিক কী কারণে ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব?
প্রসঙ্গত, ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে ২০২৩ সালে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল ভারত। আর সেইসঙ্গে গত এক বছরে বারবার বলে এসেছে যে প্রমাণ দেওয়া হোক নয়াদিল্লিকে। সেই প্রমাণ অবশ্য দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। এদিকে সম্প্রতি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে একটি মামলার তদন্তে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়। এমনকী তাঁদের জেরা করতে চাওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। সূত্রের খবর, খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের মামলায় সঞ্জয় ভার্মাদের কাছে কোনও তথ্য থাকতে পারে বলে দাবি করেছিল কানাডা। আর এরপরই কানাডা সরকারের সেই পদক্ষেপে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি। প্রাথমিকভাবে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তলব করা হয় ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে। (আরও পড়ুন: ২৭,৮৭০.১৬ কোটি টাকা তুলতে IPO ছেড়েছে হুন্ডাই,গ্রে মার্কেটে কত ꦆদর উঠেছে শেয়ারের?)
এরপর কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করা হয়। আর 𒁏তারপর ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার-সহ ছয় কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে এবার মুখ খুললেন ট্রুডো। এই সংঘাতের আবহে কানাডা আবার দাবি করেছে, খলিস্তানিপন্থীদের ভারতীয় এজেন্টরা হেনস্থা করছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, সেই কাজের জন্য সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে পকেটে রাখতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। এরই মাঝে আবার আমেরিকার তরফ থেকে ভারতকে 'পরামর্শ' দেওয়া হল কানাডাকে তদন্তে সাহায্য করার।