খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে হত্যার ছক নিয়ে কানাডার অভিযোগকে গুরুত্ব দিক ভারত। এমনই 'পরামর্শ' দিল আমেরিকা। ভারত ও কানাডার মধ্যে গত কয়েকদিনে সম্পর্ক তলানিতে গিয়েছে ঠেকেছে। এই আবহে গতকাল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলারকে এই ইস্যুতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে কার্যত কানাডার পক্ষই নেন মার্কিন আধিকারিক। তিনি বলেন, 'আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি যে কানাডার অভিযোগকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। আমরা চেয়েছিলাম ভারত সরকার এই নিয়ে কানাডার তদন্তকে সাহায্য করুক। তবে ভারত অন্য এক পথ বেছে নিয়েছে।' (আরও পড়ুন: ৪৮ ঘণ্টায় ১০টি ভরতীয় উড়ানে বোমাতঙ্ক, একের পর এক ব🦄িমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি)
প্রসঙ্গত, ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছিল ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে। নিজ্জরের হত্যার ঘটনায় ভারতের যোগ থাকতে পারে বলে ২০২৩ সালে কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন ট্রুডো। তবে সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল ভারত। আর সেইসঙ্গে গত এক বছরে বারবার বলে এসেছে যে প্রমাণ দেওয়া হোক নয়া📖দিল্লিকে। সেই প্রমাণ অবশ্য দিতে পারেনি ট্রুডো সরকার। এদিকে সম্প্রতি কানাডায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা-সহ কয়েকজন ভারতীয় কূটনীতিবিদকে একটি মামলার তদন্তে ‘পারসন অফ ইন্টারেস্ট’ করা হয়। এমনকী তাঁদের জেরা করতে চাওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়েছে একাধিক রিপোর্টে। সূত্রের খবর, খলিস্তানি জঙ্গি নিজ্জরের মামলায় সঞ্জয় ভার্মাদের কাছে কোনও তথ্য থাকতে পারে বলে দাবি করেছিল কানাডা। আর এরপরই কানাডা সরকারের সেই পদক্ষেপে তুমুল ক্ষোভপ্রকাশ করে নয়াদিল্লি। প্রাথমিকভাবে কড়া বার্তা দেওয়া হয়। তলব করা হয় ভারতে কানাড꧂ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস উইলারকে।
এরপর কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনার-সহ বেশ কয়েকজন কূটনীতিবিদকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করা হয়। আর তারপর ভারতে কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার-সহ ছয় কূটনীতিবিদকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই আবহে এবার মুখ খুললেন ট্রুডো। এই সংঘাতের আবহে কানাডা আবার দাবি করেছে, খলিস্তানিপন্থীদের ভারতীয় এজেন্টরা হেনস্থা করছে। রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের তরফে দাবি করা হয়ꦕেছে, সেই কাজের জন্য সংগঠিত অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেখানে নাকি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করেছে ভারতীয় এজেন্টরা। যদিও ভারত প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছে, ট্রুডো সরকার নিজের খলিস্তানি ভোটব্য়াঙ্ককে পকেটে রাখতে ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। এরই মাঝে আবার আমেরিকার তরফ থেকে ভারতকে 'পরামর্শ' দেওয়া হল কানাডাকে তদন্তে সাহায্য করার।