🌸জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটা মামলা হয়েছে। যেখানে এক্ষেত্রে ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া ไহয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তাই এবার সতর্কবার্তা জারি করল নবান্ন। উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে আগেই সতর্ক করেন। কোনওভাবে যাতে ভুয়ো কিছু না ঘটে তা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। এবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হবে। আর তা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিল নবান্ন। আজ, বুধবার একাধিক জেলার জেলাশাসক এবং নানা দফতরের সচিবদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
নবান্ন সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে জাতিগত শংসাপত্রের বিষয়টি আলোচিত হয়। আর তখনই নিয়ম মানার নির্দেশ দেন জেলাশাসকদের। সেখানে বলা হয়, জাতিগত শংসাপত্র কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম মেনেই করতে হবে। অর্থাৎ যে গাইডলাইন দেওয়া আছে তা মেনেই দিতে হবে জাতিগত শংসাপত্র। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে তাই বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। দু’দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতিগত শংসাপত্র প্রসঙ্গে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে বলে বিষয়টি সামনে আনেন। তখন থেকেই এই ꩲস্পর্শকাতর বিষয়ে সতর্ক হতে শুরু করেন প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিকে এই জাতিগত শংসাপত্র নানা সময়ে ভুয়ো বেরচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই জেলাশাসকদ🔥ের ꦚসঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠক হয়। যেখানে মূল বিষয় ছিল, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র। রাজ্যজুড়ে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে দুয়ারে সরকার শিবির। সেখানে জাতিগত শংসাপত্র দেওয়া হবে। আবার এখান থেকে অনেকে আবেদন করতেও পারবেন। এবার এখানে একটি নতুন পরিষেবা যুক্ত হয়েছে। হর্টিকালচার বিভাগ বা উদ্যান পালন দফতরের একটি প্রকল্প এবারের দুয়ারে সরকারে ক্যাম্পে যোগ হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ভাঙড় কি কলকাতা পুল🧔িশের আওতায় এল? শীত পড়তেই উত্তর খুঁজছেন ভাঙড়ব🐼াসী
অন্যদিকে একদিকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলে💎ছে। আর তারপরই এই বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, প্রান্তিক এলাকা এবং আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে বিশেষ নজর থাকবে। দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে কোনও আবেদনপত্র জেরক্স করে বিলি না করার নির্দেশ দ🥂েওয়া হয়েছে। জেলাশাসকদের সতর্ক করেন মুখ্যসচিব। ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দুয়ারে সরকারের পরিষেবা দেওয়া হবে। নবান্ন সূত্রে খবর। আজকের বৈঠকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দেন, যেসব আদিবাসীদের জাতিগত শংসাপত্র নেই তাঁদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় তথ্য নথি নিয়ে তবেই শংসাপত্র দিতে হবে। যাতে তাঁরা বঞ্চিত না হন।