আনারুলের প্ররোচনাতেই বগটুইয়ে বন্ধ ঘরে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের🌱। আক্রান্তদের পরিবারের এই অভিযোগ চার্জশিটে মেনে নিল সিবিআই। সোমবার রামপুরহাট আদালতে সিবিআই যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে আনারুলের বিরুদ্ধে অপরাধে সাহায্য করা ও প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। যদিও আনারুল আগেই দাবꦕি করেছেন, তিনি নির্দোষ।
বগটুই গণহত্যার পর থেকে তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, চোখের সামনে বাড়ি জ্বলতে ♊দেখেও পুলিশকে খবর দেননি আনারুল। গ্রামবাসীরা তাঁকে পুলিশের সঙ্গে 𝓰যোগাযোগ করতে বললেও তিনি নিষ্ক্রিয় থাকেন। ২৪ মার্চ তাঁকে তারাপীঠের হোটেল থেকে গ্রেফতার করে সিট। যদিও আদালতে পেশের সময় আনারুল জানান, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ফাঁসিয়েছে, যাদের টিভিতে দেখা যায়, তারা।
গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে খুন হন পঞ্চায়েতের তৃণমূলি উপপ্রধান ভাদু শেখ। এর কয়েকঘণ্টা পর কাছেই বড়শাল গ্রামে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। ২৫ মার্চ এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সোমবার এই মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে নাম না থাকায় ইতিꦐমধ্যে ২১ জনের জামিন হয়ে গিয়েছে। ওদিকে ভাদু শেখ খুনে পলাশ খানসহ ৪ অভিযুক্ত এখনো পলাতক।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন 𝄹ছিলেন পেশাদার রাজমিস্ত্রি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর লাফিয়ে উত্থান হতে থাকে। ꧒বগটুই গণহত্যার পর প্রকাশ্যে আসে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ির ছবি। ওদিকে ঘটনার পর আনারুলের দায় ঝাড়তে তৃণমূলের অন্দরে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। রামপুরহাটের বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিঠি ফাঁস করে জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দাবি করেন, আশিসবাবুর অনুরোধেই আনারুলকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি পদে রেখেছিলেন তিনি।