তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। তাও সেই অভিযোগ তুলেছেন খোদ বিজেপির বিধায়ক–সাংসদ থেকে শুরু করে নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। এবার তাতে কড়া পদক্ষেপ করলেন বিএল সন্তোষ। হ্যাঁ, তিনি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। এমনকী রাজ্য বিজেপি সভাপতি বনাম বিরোধী দলনেতার ‘সাপে–নেউলে’ সম্পর্ক নিয়ে দলের অন্দরে যে জোর চর্চা ছিল তা নিয়ে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন সর্বভার🧜তীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ। আর ডানা ছাঁটলেন অমিতাভ চক্রবর্তীর।
ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন বিএল সন্তোষ? বৈভবের প্রশিক্ষণ শিবিরের শেষদিনে সন্তোষের ‘বিস্ফোরক’ মূল্যায়ণে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে। এদিন বিএল সন্তোষ দলের ন🎀েতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতাকে একসঙ্গে মিটিংয়ে বসাতে গেলে যদি অমিত শাহকে আসতে হয়, তাহলে বলব এভাবে পার্টি চলে না। আমি রোজ বাংলা থেকে দিনে ১০ থেকে ১২টা ইমেল পা🔴ই। যেখানে বিভিন্ন নেতানেত্রী তাঁরই সতীর্থ সম্পর্কে রোজ লিখিত নালিশ করেন’। সুতরাং দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে এনে দেন তিনি বলে সূত্রের খবর। এমনকী রাজ্যের দুই শীর্ষ বিজেপি নেতার সামনেই সন্তোষ ক্ষোভ উগরে দেন।
অমিতাভ চক্রবর্তীর ঠিক কী হয়েছে? এই বৈভ🦋বের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে কেন্দ্রীয় পার্টির সাংগঠনিক নেতা বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর ক্ষমতাও খর্ব করে দিয়েছেন। কারণ, তাঁর নামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর থেকে শুরু করে একাধিক সাংসদ–বিধায়ক এবং রাজ্য নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। নালিশ করেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তার শাস্তিস্বরূপ রাজ্য বিজেপির দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক জোন, রা♈ঢ় বঙ্গ ও হাওড়া, হুগলি ও মেদিনীপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সতীশ ধোন্দকে। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অমিতাভকে। এই জোনের মধ্যে রাজ্য বিজেপির ১৮টি সাংগঠনিক জেলা রয়েছে বলে সূত্রের খবর।