যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর দায় কারꦛ? এই প্রশ্ন নিয়ে এখন চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। কারণ রাজ্য সরকার যেমন রাজ্যপালকে দায়ী করছেন আচার্য হিসাবে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে তেমনি এবার কলকাতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না। তবে দলীয় কর্মসূচিতে এসে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের করা মন্তব্যের বিপরীত মন্তব্য করেছেন। আর তাতেই আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বঙ্গ–বিজেপি। তৈরি হয়েছে বিতর্কও।
এদিকে কয়েকদিন আগে বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রম𝄹ন্ত্রী বীরভূমে সভা করেন। সেখান থেকে তিনি বলেছিলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫টি আসন জিতবে। তা নিয়ে কম সমালোচনা হ💝য়নি। কারণ বিজেপির অন্দরেই তা নিয়ে নানা মতভেদ তৈরি হয়েছিল। যে দলের নীচুতলায় সংগঠন নেই তারা এতগুলি লোকসভা আসন জিতবে কী করে? উঠে যায় প্রশ্ন। পাল্টা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ৪০টি লোকসভা আসন জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঝাঁপাবে। অধীররঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য শুনে বলেছিলেন, পাঁচটার বেশি পেলে বুঝব।
অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করে ছিলেন 🌃বিজেপি ২০০–র বেশি আসন পাবে। স্লোগান ছিল—আপ কি বার ২০০ পার। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলের পর দেখা গেল দুই অঙ্ক পেরতে পারেনি। দৌড় থেমেছিল ৭৭ আসলেই। তারপর একের পর এক বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় সেই সংখ্যা নে💙মে দাঁড়িয়েছে ৬৯। ধূপগুড়ির উপনির্বাচনে বিজেপি জিততে না পারলে আরও একটি আসন কমবে। তবে এবার অমিত শাহের আগাম দাবি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বিজেপি ৩৫টি আসন পাবে। যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁর সতীর্থ ধর্মেন্দ্র প্রধান এই সংখ্যার সঙ্গে সহমত নন। ফলে বঙ্গ–বিজেপির অন্দরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় যꦯুবককে অপহরꦐণের অভিযোগ, তদন্তে নামল হরিদেবপুর থানা
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী? লোকসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর এই মতভেদ প্রক💮াশ্যে আসায় কোণঠাসা বঙ্গ–বিজেপি। রবিবার কলকাতায় নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। যিনি যাদবপুর এবং দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন। এই লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কার্যকর্তাদের বৈঠকে তিনি ২৫টি আসনে জয়ের কথা জানান বলে খবর। অথচ দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের ৪০ শতাংশ বুথে সভাপতি নেই বিজেপির। সেখানে মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘২৫টি আসনে বিজেপি জিততে চলেছে।’