বাংলায় বারবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদ🌱ল আসতে দেখা গিয়েছে। সেটা ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, মিড–ডে মিল–সহ নানা প্রকল্প সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। এবার জুন মাসে আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল বাংলায় আসছে। তবে এবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট খরচ বা সিকিউরিটি রিলেটেড এক্সপেন্ডিচার (এসআরই) ফান্ড নিয়ে ‘অতিসক্রিয়’ কেন্দ্রীয় সরকার। এই খাতের টাকা কোথায় কেমন করে খরচ হয়েছে? সেটা জানতেই রাজ্যে আসছে মোদী সরকারের অডিট টিম। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তাঁদের কলকাতায় আসার কথা রয়েছে। এখান থেকে তাঁরা জঙ্গলমহলে যাবেন বলেও খবর।
কেন তাঁরা জঙ্গলমহলে যাবেন? মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে বাড়তি অর্থ বরাদ্দ করে থাকে। এটাকেই এসআরই ফান্ড বলা হয়। যদিও নরেন্দ্র মোদী জমানায় এই খাতে বরাদ্দ লাগাতার কমেছে। বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া–সহ জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের দাপট ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই এলাকা💯 মাওবাদী শূন্য হয়ে🅷 গিয়েছে। এখন জঙ্গলমহল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। এখানে মাওবাদী ঠেকাতে নিরন্তর নজরদারি চালানো হচ্ছে। মাওবাদীদের গতিবিধি জানতে সোর্সও পুষতে হয় রাজ্য পুলিশকে। ভিভিআইপিরা এই এলাকায় এলে ‘থ্রেট’ কতটা রয়েছে সেটা নিয়েও খোঁজখবর চালাতে হয়। তার জন্য খরচ করা হয় এসআরই ফান্ড।
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার এই তহবিল থেকে কেমন খরচ হচ্ছে বা হয়েছে সেটা দেখতেই আসছে কেন্দ্♈রীয় প্রতিনিধিদল। ꦐরাজ্য পুলিশ সূত্রে অবশ্য খবর, এই খাতে যে টাকা কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য সেটা দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আসছে না। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এই নিয়ে স্বরাষ༺্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠানো হলেও কোনও উত্তর আসেনি। অর্থ তো আসেইনি। তার জেরে জঙ্গলমহলে নজরদারি চালাতে তহবিলের সমস্যা হচ্ছে।