বাদ পড়ল হিপোক্রেটিক ওথ। বদলে হবু ডাক্তারদের পাঠ করানো হল চরক শপথ। ঘটনাটি ঘটেছে এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ‘গৈরিকীকরণ’-এর অভিযোগ উঠতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।এর আগে ইন্টার্নশিপ শুরুর আগে গ্রিক চিকিৎসক হিপোক্রেটসের নামে হিপোক্রেটিক ওথ পাঠ করিয়ে চিকিৎসকের ধর্ম পালনের শপথ নিতেন ডাক্তাররা। আর সোমবার প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে পাঠ করানো হল চরক শপথ। হিপোক্রেটিক ওথের বদলে চরক শপথের প্রস্তাব অবশ্য এসেছিল আগেই। যদিও এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও নির্দেশিকা এখনও পাঠায়নি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিল। তবে শপথ বাক্য পাঠ করানো অধ্যক্ষ ডঃ রঘুনাথ মিশ্র জানান, এনএমসির পরামর্শ মেনে চরকের নামে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।এদিকে ঘটনায় স্বভাবতই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য তথা পেশায় চিকিত্সক ডঃ শান্তনু সেন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘হিপোক্রিটের বদলে চরক শপথের বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন। এই আবহে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কেন আগ বাড়িয়ে এই কাজটা করা হল তা বুঝলাম না।’ এদিকে বিজেপি নেতা তথা চিকিত্সক ডঃ ইন্দ্রনীল খানের বক্তব্য, ‘আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র শুধুমাত্র পাশ্চাত্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে আটকে নেই। প্রাচ্যের চিকিৎসাবিদ্যাও তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। মেডিক্যাল কলেজে চরকের নামে শপথ নেওয়ায় সেই সত্যিটাকেই মান্যতা দেওয়া হল। ব্রিটিশরা আমাদের উপর হিপোক্রেটিক ওথ চাপিয়ে দিয়েছিল। এক স্বদেশী চিকিৎসকের নামে শপথ নিয়ে এতদিন পর আমরা সেই শৃঙ্খল ভাঙতে সক্ষম হলাম।’