লো𒆙কসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার ইভিএমে কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারী দিবসের প্রাক্কালে কলকাতায় তৃণমূলের মিছিল শেষে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এব্যাপারে দলীয় কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। বিজেপির দাবি, লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি আসন্ন বুঝে আগে থেকে অজুহাত খুঁজে রাখছেন তৃণমূলনেত্রী।
কলকাতার ধর্মতায় দলীয় নেতা - কর্মীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘ইভিএম মেশিনটা চেক করবেন। ওদের প্ল্যান অনুযায়ী ২০টা জায়গায় না কি চিপ লাগাচ্ছে। যারা এজেন্ট হবেন, কাউকে কাউকে টাকা দিয়🎃ে কিনেও নেবে। নজর র🐭াখবেন ভালো করে।’
আরও পড়ুন: সভা থেকে ফেꦜরার পথে নন্দীগ্রামে TMC কর্মী𒁏দের ওপর হামলা, কাঠগড়ায় BJP
দেশে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ চালু হওয়ার পর বার বার উঠেছে কারচুপির অভিযোগ। বিশেষ করে ভোটের ফল প্রকাশের পর পরাজিত দলের তরফে ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই সব বিবাদ মেটাতে ২০১৭ সালে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে EVM হ্যাক করে দেখাতে চ্যဣালেঞ্জ ছুড়েছিল কমিশন। দিল্লিতে কমিশনের অফিসে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে একটি EVM দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল কমিশন। কিন্তু কর্মসূচির দিন কমিশনের দফতরে দেখা গিয়েছিল একমাত্র সিপিআইএম নেতাদের। দেশের আর কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও নেতা EVM হ্যাক করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। কমিশনের দফতরে সিপিএমের নেতারা জানান, আমরা এখানে ইভিএম সম্পর্কে শিখতে এসেছি। EVM হ্যাক করার জন্য আসিনি।
আরও পড়ুন: ♈জনগর্জন সভার প্রস্তুতি মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলরের অনু🏅গামীদের মধ্য়ে মারপিট, বিরক্ত অভিষেক
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের বিধায়কಞ শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন তাঁর শেষ দিন সমাগত। তাই ভোটের আগে থেকেই হারের অজুহাত খাড়া করা শুরু করেছেন। সঙ্গে তিনি একথাও স্বীকার করেছেন যে, তিনি এমন এক দলের নেত্রী যার ভোটের এজেন্টরা টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে যায়। লাজ লজ্জা থাকলে এর পর আর কারও তৃণমূলে থাকা উচিত নয়।’