সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে রাজ্য সরকার আগেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ🉐 করেছিল। তাতে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি এবং ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সুপ্রিম কোর্টেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার সিভিক ভলান্টিয়াদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। যা প্রকাশ্যে আসতে খুশি সিভিক ভলান্টিয়াররা। আর রাজ্যপালের জবাবও দেওয়া হল এই কাজের মাধ্যমে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তারপর থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরুꦛ করে। আর সেসব প্রশ্নের জবাব দিতেই এবার থেকে কলকাতা পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া হবে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। একুশ দিনের নন–রেসিডেনসিয়াল প্রশিক্ষণ দেবে কলকাতা পুলিশ। লালবাজারের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণের বিষয়ে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের এই প্রশিক্ষণ দিলে আরও অনেক কাজ তাঁরা করতে পারবেন। যা এখন তাঁরা পারেন না।
আরও পড়ুন: ‘খাবারের ভাগ নিয়ে যত কাজিয়া’, দলীয় নেতা–কর্মীদের কড়া দাওয়াই দিলেন উদয়ন গুহ
পুলিশ সূত্রে খবর, অক্টোবর মাস শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ শিবির। প্রথম ধাপে ১৬০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেটা শেষ হলে তারপর ২৮ অক্টোবর তারিখের মধ্যে এই প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নামের তালিকা জমা করতে হবে লালবাজারে। এভাবেই সকলেরই প্রশিক্ষণ হয়ে যাবে। ই♕তিমধ্যেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে লালবাজার।
সামনে কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটার মতো উৎসব–অনুষ্ঠান রয়েছে। এই নিয়ে সকলেই ব্যস্ত থাকবেন। তার উপর কলকাতা থেকে জেলার নিরাপত্তা এবং ট্রাফিকের বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা ব্যস্ত থাকবেন। ༒সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে না। সবদিক বিবেচনা করে 𒁃আগামী ৪ নভেম্বর সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা চলবে না। তাই এবার ট্রাফিক–সহ নিরাপত্তার কাজে লাগানো হবে তাঁদের। আর তাই তাঁদের প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।