গত কয়েক বছরে বাংলায় বন্যপ্রাণীদের হানা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে বাংলার বিভিন্ন জেলায় প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে হাতি। তারপরে যেমন বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট হচ্ছে তেমনি ঘরবাড়ি, সম্পত্তি নষ্ট এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। পরিসংখ্যান বলছে, পশ্চিমবঙ্গে গত পাঁচ বছরে হাতির হানায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যাটা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই হাতির হানা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার। আর এবারꩲ হাতির গতিবিধির ওপর নজর রাখতে নাইট🙈-ভিশন ক্যামেরা লাগানো ড্রোন ব্যবহার করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে হাতি হানা রুখতে হচ্ছে নতুন টিম, থাক𝓀বেন স্থানীয়রা, পাবেন আগ্ꦆনেয়াস্ত্র
জানা গিয়েছে, আধিকারিকদের সঙ্গে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতির হানা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরেই হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, ‘হাতিদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে ড্রোন ব্যবহার করুন। হাতিরা প্রায়ই বনের বাইরে চলে যায় এবং এমনকী তারা পরিযায়ী পথ পরিবর্তন করছে। য🤪েখানে বড় বনভূমি রয়েছে সেখানে বন বিভাগের প্রতিটি জেলায় একটি করে ড্রোন রাখতে হবে। গত জুলাই মাসে লোকসভায় সামনে আসা কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলায় অন্তত ৪৩৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত চার বছরে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।
এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেক🍎ে ২০ সাল পর্যন্ত এক বছরে ১১৬ জন নিহত হয়েছিলেন। তবে ২০২১ থেকে ২২ সালে ৭৭ &n😼bsp;জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২২ থেকে ২০২৩ এবং ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে যথাক্রমে ৯৭ এবং ৯৯ জন মানুষের মৃত্যু হয় হাতির হানায়।
বন বিভাগে🔯র এক আধিকারিক জানান, বর্তমানে হাতির গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য মাঝে মধ্যে ড্রোন ব্যবহার করা হয়। তবে একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে যাতে নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো ড্রোনগুলি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হবে৷ এটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির সহায়তায় করা হচ্ছে।
আধিকারিকরা বলছেন, বেশিরভꩲাগ ক্ষেত্রেই রাতের বেলায় লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির দল। তাই নাইট ভিশন ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে প্রায় ৪৮৮টি হাতি রয়েছে এবং দক্ষিণবঙ্গে প্রায় ১৯৪টি হাতি রয়েছে।