কালীঘাটের স্কাইওয়াক নি🏅য়ে আবারও আশার আলো দেখা গেল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৫ অগস্ট থেকে শুরু হতে পারে কালীঘাট মন্দিরের স্কাইওয়াকের নির্মাণকাজ।
দক্ষিণেশ্বরের ধাঁচে কালীঘাটে স্কাইওয়াকের তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায় ৩৫০ মিটারের সেই প্রস্তাবিত স্কাইওয়াক নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে নকশা জমা পড়েছে। শেষ হꩵয়েছে অন্যান্য কাজও। কিন্তু মন্দিরের প্রবেশপথের হকারদের একাংশের আপত্তিতে নির্মাণকাজ নিয়ে জট তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে আসরে নামেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারন্যান তথা পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
শনিবার মন্দিরের প্রবেশপথের বিক্ষুব্ধ হকারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার করেন ফিরহাদ। তারপর জানান, হকারদের কমিটির লটারির ভিত্তিতে ইতিমধ্যে ১৫৪ জন হাজরা পার্কের অস্থায়ী মার্কেটে সরে গিয়েছেন। কয়েকজনের কিছুটা অসন্তোষ ছিল। সেই ২০ জন শীঘ্রই অস্থায়ী মার্কেটে চলে যাবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন ফিরহাদ। সেইসঙ্গে তিনি জানান, ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে হকাররা সরে গেলে ১৫ দিন পর থেকেই কালীঘাটের স্কাইওয়াকের শুরু ൲হবে নির্মাণকাজ। সেই মোতাবেক ১৫ অগস্ট থেকেই জোরকদমে নির্মাণকাজ চালু হয়ে যাবে।
যদিও হকাররা দাবি করেছিলেন, পুজো পর্যন্ত তাঁদের পুরনো জায়গায় দোকান চালাতে দেওয়া হোক൩। এমনিতেই করোনাভাইরাসের জেরে ধাক্কা খেয়েছে ব্যবসা। নয়া জায়গায় পসরা জমাতে-জমাতে পুজো কেটে যাবে। তা নিয়ে ফিরহাদ আশ্বাস দিয়েছেন, হাজরা পার্কের অস্থায়ী দোকান নিয়ে পুরনিগমের তরফে প্রচার চালানো হবে। হকাররা অস্থায়ী জায়গায় যাওয়ার জন্য যে ১০,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন, তাও দেওয়ার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছর পুজোর আগে পুরনো জায়গায় হকারদের দোকান করে দেওয়া হবে বলে আশাপ্রকাশ করেꦫছেন ফিরহাদ।