রাজ্যে ফের সমবায় দুর্নীতির অভিযোগ। এবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল হুগলি নদী জলপথ সমবায়ের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির কথা মোটামুটি স্বীকার করে নিয়েছেন রাজ্যের সমবায় মন্ꦦত্রী অরূপ রায়। এব্যাপারে পরিবহন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
গত মঙ্গলবার বিজেপির হাওড়া জেলা সভাপতি উমেশ রাই অভিযোগ করেন, হুগলি নদী জলপথ সমবায় যাত্রীদের প্রাণ নিয়ে ছেলেখেলা করছে। একই সঙ্গে সেখানে ব্যাপক আর্থিক তছরূপের অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে সমবায়ের কোটি কোটি টাকা লুঠ করছেন তৃণমূল নেতারা। সমবায়ের পুনরুত্থানের জন্য রাজ্য সরকার যে ৪ কোটি টাকা দিয়েছিল তাও লুঠ করা হয়েছে। তিনি জানান, সমবায়ের কাছে মোট ২৬টি ভেসেল রয়েছে। তার মধ্যে ৬টি ভেসেল যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার অযোগ্য। অথচ সেগুলি যাত্রী পারাপারে ব্যবহার করা হচ্ছে। ৯টি ভেসেলের ফিটনেস স🐻ার্টিফিকেট পর্যন্ত নেই। অথচ ৫ বছর পর পর ভেসেলের ফিটনেস পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। হাওড়া, শিবপুর, চাঁদপাল ঘাট থেকে এই খারাপ ভেসেলগুলো চলছে। ইডেনে খেলা থাকলে ওই ভেসেল গুলিতে করেই মানুষ পারাপার করছে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল চুরি করে এটা তবু মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু মানুষের প্রাণ নিয়ে ছেলেখেলা মেনে নেওয়া যায় না।’
২ দিন পর বৃহস্পতিবার বিজেপির করা অভিযোগ মেনে নেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুতর অভিযোগ। আমার সঙ্গে মঙ্গলবারই পরিবহন মন্ত্রীর কথা হয়েছে। আমি বিধানসভায় তাঁর সঙ্গে বৈঠক করব। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেই থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ওদের কর্মীদের বেতন ওরাই দেয়। কিন্তু এক মাস বেতন দিতে পারেনꦛি। তাই সমবায় দফতর ওদের ৪ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা কোথায় গেল হিসাব দিতে হবে।’ তবে ভেসেলের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন শুনꦆে ক্ষুব্ধ হন মন্ত্রী। সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।