করোনা উপসর্গ আছে। কিন্তু সেই রিপোর্ট নেই। ফলে এমন রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। বহু করোনা রোগীকেই চরম হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছিল। মিলছিল না চিকিৎসা এবং বেড। এবার এই পরিস্থিতি ঠেকাতে এগিয়ে এল স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার লিখিত নি🅰র্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিল, করোনা উপসর্গ থাকলেই রোগীকে ভর্তি নিতে হবে।
রাজ্যে রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। শেষ তিনদিন গড়ে ১৭ হাজার করে মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্যে। রাজ্যের সরকারি–বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলির উপর আরটি–পিসিআর পরীক্ষার জন্য চাপ রয়েছে। রিপোর্ট আসার আগেই অনেক রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। রক্তে দেখা দিচ্ছে অক্সিজেনের ঘাটতি। বেশ কয়েকটি ঘটনা স্বাস্থ্য দফতরের নজরে আসে। তখꦓনই নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য ভবনের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, করোনা উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী হাসপাতালে এলে দ্রুত তাঁকে হাসপাতালের সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস ওয়ার্ডে ভর্তি করে নিতে হবে। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক অনির্বাণ দলুই জানান, করোনা রোগী আরটি–পিসিআর পরীক্ষা করিয়ে বাড়ি ফিরে যান। তার থেকে আরও পাঁচজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়। তাই রিপোর্ট আসার আগেই রোগী অ💮সুস্থ হয়ে পড়লেই সমস্যা। এক্ষেত্রে অ্যান্টিজেন পরীক্ষাই হয়ে উঠতে পারে মুশকিল আসান।
করোনা 🍸পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, হাসপাতালে যাওয়ার পর যদি কোনও করোনা রোগীকে সেই হাসপাত꧋াল ভর্তি নিতে না পারে, তাহলে অন্য হাসপাতালে রেফার করলে শয্যার ব্যবস্থা করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকেই। সেক্ষেত্রে বেড পেতে আর অসুবিধা হবে না বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।