আগামী ৮ জুলাই জ্যোতি বসুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে বসানো হয়েছিল সারি সারি চারা গাছ। পরিকল্পনা ছিল ‘গ্রিন ওয়াল’ তৈরির। কিন্ত সেখানে গিয়ে দেখা গেল, কপূরের মতো উবে গিয়েছে সমস꧋্ত চারাগাছ! আর তা নিয়েই এখন হুলস্থূল কাণ্ড বঙ্গ সিপিআইএমে। নিউটাউনে পাঁচ একর জমিতে প্রয়াত নেতার নামে একটি আধুনিক গবেষণাকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা করেছিল সিপিআইএমের নেতৃত্ব। জমির হস্তান্তর সংক্রান্ত জটিলতা মেটার পর সেই জমিতে গতবার বৃক্ষরোপণ করে জ্যোতিবাবুর জন্মদিনকে স্মরণ করেছিলেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
ঠিক কী ঘটেছে নিউটাউনে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই চারাগুলি আর মাথা তুলে দাঁড়ায়নি। বছর ঘুরে আরও একটি ৮ 𓆏জুলাই সামনে আসায় খোঁজ নিতে গিয়ে সিপিআইএমের নেতারা জানতে পারেন, বস𝕴ুকে স্মরণ করে তাঁদের পোঁতা একটি চারাগাছেরও হদিশ নেই। সব ভ্যানিশ। হয় চুরি হয়েছে, নতুবা সেগুলি গরুর খাদ্যে পরিণত হয়েছে। তাহলে এই বছর জ্যোতি বাবুর জন্মদিন পালন করা হবে কীভাবে? সিপিআইএম সূত্রে খবর, এই বছর ১০০০ চারা গাছ বিতরণ করা হবে প্রয়াত নেতার জন্মদিনে। সঙ্গে গ্রিন ওয়ালের পরিবর্তে জমির চারপাশে ইটের পাঁচিল তোলা হবে।
উল্লেখ্য, নিউটাউনে ৫ একর জমিতে রাজ্যের পᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নামে একটি আধুনিক গবেষনা কেন্দ্র এবং মিউজিয়াম তৈরি করার কথা ভেবেছিল সিপিআইএমের রাজ্য নেতৃত্ব। গত বছর সেই জমিতে বৃক্ষরোপন করে জ্যোতিবাবুর জন্মদিন পালন করেছিল সিপিআইএম নেতারা। রাজ্য সিপিআইএম নিয়ন্ত্র🍰িত একটি অছি পরিষদ গঠন করা হয়েছে। যার নাম জ্যোতি বসু সেন্টার ফর সোশ্যাল স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ। সংস্থার চেয়ারম্যান বিমানবাবু। কেরলে যেমন প্রয়াত নেতা এ কে গোপালনের নামে একেজি সেন্টার রয়েছে, সেই আদলেই তৈরি হবে এটি।
আর কী জানা যাচ্ছে? জানা গিয়েছে, বাম জমানার শেষ লগ্নে জ্যোতি বসুর প্রয়াণের ঠিক পরেই নিউটাউনে এই জমি কিনতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করেছিল পার্টি। তখন ঠিক হয়, বামফ্রন্ট ফের ক্ষমতায় এলে এই নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু ২০১১ সালে পালাবদল হয়। তার পর জমির হস্তান্তর নিয়ে নানা জটিলতা তৈরি হয়। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে ওই জমি হাতে আসে আলিমুদ্দিনের। এখন সেখানে নির্মা😼ণের নকশা তৈরির কাজ চলছে।