কলকাতা মেট্রো রেল এখন অনেক স্মার্ট হয়েছে। টোকেনের পরিবর্তে স্মার্ট কার্ড থেকে শুরু করে সব রেকই এসি। একের পর এক রুট বেড়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যও বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে একটা খারাপ খবরও আছে। সেটা হল— নোয়াপাড়া কারশেডে ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে এসে পড়ে রয়েছে এসি ডালিয়ান রেক। এটি চিন থেকে কিনে আনা হয়েছিল।কতদিন পড়ে আছে এই চিনা রেক? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত। গোটা সময়কে ধরলে দাঁড়ায় ৩৪ মাস। যাত্রী পরিবহণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না এই ডালিয়ান রেক। কিনে পড়ে থাকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিপুল টাকা দিয়ে কেনা রেক কী জলে যাবে? এই রেকের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান মেট্রোর ইঞ্জিনিয়াররাও। বিষয়টি ঠিক কী? মেট্রো রেল সূত্রে খবর, এই ডালিয়ান রেক জাহাজে করে চিন থেকে কলকাতায় আনা হয়েছিল। এমনকী ডালিয়ান রেকের প্রচারও হয়েছিল। এই ডালিয়ান রেক নোয়াপাড়া মেট্রো কারশেডে জায়গা পায়। কিন্তু কারশেড থেকে এগোয়নি ডালিয়ান রেক। বেশ কয়েকবার তার পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত কমার্শিয়াল রান আর হয়নি।সমস্যাটা ঠিক কোথায়? মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ার জানাচ্ছেন, ‘চিন থেকে আসা এই রেক যাত্রী নিয়ে সফরের উপযুক্ত হয়ে ওঠেনি। রেকের বেশ কিছু বদল প্রয়োজন। চিনে খবর দেওয়া হয়েছে। রেক দেখতে আসার কথা ডালিয়ান সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারদের। কিন্তু করোনাভাইরাসের জেরে তাঁরা এসে আর রেক পরীক্ষা করে যেতে পারেননি।’