দু’দিন আগে রাতের দিকে ভেঙে পড়েছিল পাথুরিয়াঘাটার একটি বাড়ির একাংশ। তা নিয়ে জোর আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। ওই এলাকায় কতগুলি বিপজ্জনক বাড়ি আছে?💞 সেই তথ্য জানতে চেয়ে দ্রুত রিপোর্ট দিতে পুরপ্রতিনিধিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বিপজ্জনক বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছিল গত শুক্রবার। আর তাই এবার স্থানীয় পুরপ্রতিনিধিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, এই নির্দেশের পরই ওই ওয়ার্ডে ১০৮টি বিপজ্জনক বাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে কলকাতা পুরসভা বলে সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই বেআইনি নির্মাণ জনসমক্ষে নিয়ে আসতে ওয়েবসাইট চালু করছে কলকাতা পুরসভা। যাতে শহরের মানুষজন জানতে পারেন কোথায় বেআইনি নির্মাণ আছে। পুরসভা কেমন পদক্ষেপ করেছে। আদালতের শুনানিতে কি বলা হয়েছে। সব তথ্য ওই ওয়েবসাইটে মিলবে। এবার তার সঙ্গে যোগ হল বিপজ্জনক বাড়িরඣ হদিশ করার নির্দেশ। এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভা ম𒁏েয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিপজ্জনক বাড়ি শহরের একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষকে এবার এগিয়ে আসতে হবে। তবে শহরের বিপজ্জনক বাড়ির সমস্যা মিটিয়ে ফেলার জন্য পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিচ্ছি পুরপ্রতিনিধিদের।’
আরও পড়ুন: বেআইনি ন⛦ির্মাণ এবার আসবে প্রকাশ্যে, কলকাতা পুরসভা নিয়ে আসছে নয়া ওয়েবসাইট
এদিকে ৮০/১ নম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের ওই বাড়ির﷽ একাংশ ভেঙে দু’জন আটকে পড়েন দু’দিন আগে। পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, সিইএসসি’র কর্মীরা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁদের বের করে আনেন। কয়েকদিন আগে একটি নোটিশ ঝোলানো হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি যে ভেঙে পড়তে পারে সেটা অনেকেই বুঝতে পারেননি। ওই নোটিশে লেখা, ‘কয়েকটি ভাড়াটে পরিবার অন্য জায়গায় বসবাস করছে। তাদের থাকার দায়িত্ব ন♐িয়েছে নির্মাণ সংস্থা। কিন্তু কিছু পরিবারকে বলা সত্ত্বেও বিপজ্জনক বাড়ি ছাড়েনি। নির্মাণকাজ শুরু হলে এই বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে।’ এই নোটিশের পরও সেখানে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে দু’জন আটকে পড়েন।
অন্যদিকে ওখানের আর একটি বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলাকালীন এমন ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। এই বিষয়ে স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরপ্রতিনিধি মীরা হাজরা বলছেন, ‘নির্মাণ সংস্থা তিনটি ঠিকানার সব বাড়ি কেনার পর ভাড়াটেরা নানা দাবি তোলেন। নির্মাণ সংস্থাটি প্রায় সমস্ত দাবি মিটিয়ে দেয়। কিছু পরিবার অন্যত্র চলে যায়। বাকি চারটি পরিবার ভেঙে পড়া বাড়িটিতে ছিল। এই পরিবারগুলি আসলে ভাড়াটের ভাড়াটে। তাই🅠 উঠে গেলে আর জায়গা ফিরে না পাওয়ার শঙ্কা ছিল। তা থেকেই এখানে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।’