জ্বর নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি হন জোড়াবাগান এলাকার যুবক। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হল ওই যুবকের। জোড়াবাগান এলাকার যুবক বিট্টু সিং (৩৬) জ্বর নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন বিট্টু বলে খবর। তার সঙ্গে পেটে ব্যথা, শরীরের নানা জায়গায় র্যাশ বেরিয়ে যায়। স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তিনি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। এবার খাস কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কের বাতাবর👍ণ তৈরি হয়ে🧜ছে। তবে এই নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হল ডেঙ্গিতে। যা সকলকে ভাবিয়ে তুলেছে।
শীত এখনও পুরোদমে পড়েনি। নভেღম্বর মাসের শুরুতেই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর মিলতে শুরু করেছে। যা উদ্বিগ্নের। জোড়াবাগান এলাকার যুবকের ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি জ্বরের উল্লেখ আছে। আরজি কর হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হলেও প্লেটলেট অনেকটাই নেমে যায় বলে খবর। শুক্রবার রাতেই হাসপাতালেই মারা যান বিট্টু সিং। যদিও কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে সাত হাজার। ফিভার ক্লিনিকে পরীক্ষা করে রিপোর্ট তাঁদের পজিটিভ এসেছে। রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই আজ, শনিবার বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যভবনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জেএমবি জঙ্গির জামিন, কলকাতা হাইকোর্টের কেন এমন রায়?
এই ঘটনা ঘটলেও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং কলকাতা পুরসভার বক্তব্য, এবার ডেঙ্গির প্রকোপ গতবারের তুলনায় অনেক কম আছে। কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, ডেঙ্গিতেই এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে কিনা সেটা নিয়ে সরকারি কোনও রিপোর্ট তাঁদের হাতে আসেনি। কলকাতা–সহ রাজ্যের সাতটি জেলায় সাঁড়াশির মতো আক্রমণ করছে ডেঙ্গি এবং ম্যালেরিয়ার মশা। কলকাতা–সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ৬টি জেলায় প্রতি দশজন রোগীর মধ্যে পাঁচজন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, কলকাতায় এবার সামগ্রিকভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ অনেক কম। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৬৫ জন কলকাতায় ডেঙ্গিতে আক্🍌রান্ত হয়েছেন।