কসবায় ঘাতক বিএমডব্লিউ গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হল ডিজপোজেবল সিরিঞ্জ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত অডি গাড়ি থেকে মিলেছে মদের বোতল এবং গ্লাসও। সূত্রের খবর এমনই। তার ফলে বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক এবং তার সঙ্গীরা মাদকাসক্ত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ভোরে যে রাজডাঙা মেন রোডের কাছে দুর্ঘটনা হয়েছিল, সেখানে শুক্রবার রাতে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পরিদর্শন করেন দুর্ঘটনাস্থল এবং খতিয়ে দেখেন ঘাতক বিএমডব্লিউ গাড়িটি। প্রাথমিকভাবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সেই স্বল্প পরিসরের মধ্যেই গাড়িটি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ছুটছিল। সেইসঙ্গে গাড়ির ভিতর থেকে মিলেছে ডিজপোজেবল সিরিঞ্জ। সঙ্গে অডি গাড়ি থেকে মদের বোতল এবং গ্লাস পাওয়া হয়েছে। তা থেকে অনুমান, দুর্ঘটনার আগে গাড়িতে সম্ভবত মদ্যপান করেছিল অডি গাড়ির লোকজন। বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক এবং তার সঙ্গীরা কোনও মাদক নিয়েছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোরে বেপরোয়া বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হন এক পুলিশকর্মী। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত উঠে এসেছে যে বৃহস্পতিবারে রাজডাভা মেন রোডের কাছে একটি হুক্কা বারে এসেছিল বিএমডব্লিউ গাড়ির চালক রাজদীপ শর্মা এবং দুই সঙ্গী চন্দ্র পাল ও অভিষেক দাস। খাওয়া-দাওয়ার পর অপর একজন ব্যবসায়ীর সঙ্গে রাজদীপদের বচসা বাঁধে। পরে তাদের হুক্কাবার থেকে বের করে দেওয়া হয়। কিন্তু হুক্কা বারের ফের বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু'পক্ষ। তারইমধ্যে দুই সঙ্গীর সঙ্গে বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় রাজদীপরা। কিছুক্ষণ পর দ্রুতগতিতে এসে ওই ব্যবসায়ীর অডি গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাতে আহত হন এক পুলিশকর্মী। পরে বিএমডব্লিউ গাড়িটি পালাতে গিয়ে এক পথচারীকে ধাক্কা মারে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় রাজদীপ শর্মা, চন্দ্র এবং অভিষেককে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি করোনাভাইরাস বিধি লঙ্ঘনের জন্য হুক্কা বারের মালিককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চারজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।