ফুসফুসের ভেতরে আটকে গিয়েছিল দাঁত। তবে সেগুলি আসল ছিল না, ছিল নকল। তার জেরে দিনের পর দিন কষ্ট বেড়েই যাচ্ছিল। প্রবল শ൲্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন প্রৌঢ়। দক্ষিণের বড় বড় হাসপাতালে গিয়েও কোনও সুরহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেন বছর পঞ্চাশের ওই প্রৌঢ়। ফুসফুস থেকে দাঁত বের করার পর বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্য💧াটারি, পেরেক সহ কতকিছু, যেন দোকান! পেট কেটে বের করল ডাক্🌱তাররা, মৃত্যু ছাত্রের
কীভাবে দাঁত গেল ফুসফুসে?
জানা গিয়েছে, ওই প্রৌঢ় বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালে। সেই সময় একটি নকল দাঁত ভুꦏল করে গিলে ফেলেছিলেন। তখন সেটি শ্বাসনালী ও ফুসফুসের সংযুক্ত জায়গায় আটকে যায়। তারপরেই সমস্যার মধ্যে ছিলেন তিনি। এরই মধ্যে ওই জায়গায় আরও একটি নকল দাঁত লাগান তিনি। কিন্তু সেটিও একই ভাবে খুলে🐟 যায়। ২০২৩ সালে সেটিও ফুসফুসে ঢোকার মুখে আটকে যায়। তার ফলে কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না তিনি। শ্বাসকষ্টের জেরে অবস্থার অবনতি হচ্ছিল প্রৌঢ়ের।
গত দুবছর ধরে ফুসফুস থেকে দাঁত বের করার জন্য তিনি একের পর এক বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেড়ান। এতে কার্যত জলের মতো খরচ হয়ে যায় টাকা। সমস্যা সমাধানে তিনি দক্ষিণ ভারতের অন্যতম বিখ্যাত একটি হাসপাতালগিয়েছিলেন। কিন্তু, সেখানে সুরাহা মেলেনি। পরে দক্ষিণ ভারতের আরও একটি নামকরা হাসপাতালে যান। সেখানেও স্বস্তি মেলেনি। শেষ পর্যন্ত কোথাও কাজ না হওয়ায় এনআরএস হাসপাতালে যান তি𝓀নি। সেখানে হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাঁকে দেখেন। সপ্তাহদুয়েক আগে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সিটি স্ক্যান এবং অন্যান্য পরীক্ষার পর সপ্তাহখানেক আগে দাঁত দু’টি বের করে আনার চেষ্টা হয়েছিল। তবে তখন সম্ভব হয়নি। সেই সময় দাঁতের আশপাশে জমে যাওয়া নানা পদার্থ ব্রঙ্কোস্কপি দিয়ে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার ফাইবার অপটিক ব্রঙ্কোস্কোপ ব্যবহার করে কিছুক্ষণের চেষ্টায় দুই ফুসফুস থেকেই দাঁত বের করা হয়।