শীত পড়তেই কলকাতা-সহ জেলার বাজার ছেড়ে গিয়েছিল নানানꦯ সবজিতে। যার ফলে বাজারে সবজির দাম অনেকটাই কমেছিল। মধ্যবিত্তের নাগালেই ছিল বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। খুচরো বাজারে শীতের সময় ৫ টাকা করে মিলেছিল ফুলকপি। কিন্তু, শীত কমতেই আবার বাজারে সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আবার কলকাতার বাজারে সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরো বাজারে শাকসবজির স🐷রবরাহ কমে যাওয়ার ফলেই দাম বাড়ছে সবজির। তাছাড়া, অত্যধিক তাপ এবং বৃষ্টি না হওয়ার কারণে সবজির ফলনও সেভাবে হচ্ছে না। ফলে বাজারে সবজির সরবরাহ কমে গিয়েছে।
সাধারণ গ্রীষ্মকালীন সবজি যেমন বেগুন, 🔯ওকড়া এবং করলার দাম এখন কেজি প্রতি ৮০-১০০ টাকা করে। পাতিলেবুর দাম ৬ টাকা করে। 🙈এছাড়াও, গাজর, মটরশুটি, বিটরুট এবং ক্যাপসিকামের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রেতাদের বক্তব্য, এবারের শীতে সবজির দাম অন্যান্য বরের তুলনায় বেশি ছিল। গ্রীষ্মের শুরুতে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজেটে ভারসাম্য রেখেই সবজি কিনতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে ইংল্যান্ড এবং ইউরোপে এবার সবজির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এবার বাংলাতেও শীতকালে বৃষ্টি সেরকমভাবে হয়নি। এই অবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে শাকসবজির উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা।
বেঙ্গল ফার্ম প্রডিউসারস অ্যান্ড ভেন্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল দে জানান, গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে আসতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে। সেই সবজি বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে। এবার বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির ঘাটতি থাকার কারণ🍌 হিসেবে মূলত অনাবৃষ্টিকে দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, এবার শীতে বৃষ্টি হয়নি। ফলে সেচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হচ্ছে কৃষকদের। এমনকী বৃষ্টির অভাবে সেচ🌳ের খালগুলিও শুকিয়ে গিয়েছে। এক হোটেল ব্যবসায়ীর কথায়, খাবারের দাম অপরিবর্তিত রাখতে বিভিন্ন রেসিপিতে সবজির অনুপাত কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবজির দাম বাড়লে এভাবেই সবজির অনুপাত কমানো হয়। বাজারে সবজি সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ী হলে দাম আবার কমবে বলেই মনে করছেন সবজি বিক্রেতারা।