অগস্ট মাস শেষ হতে চলল। তারপর সেপ্টেম্বর। এই সেপ্টেম্বর মাস কাটলেই আশ্বিনের শারদ সকাল। সুতরাং মাঝে আর একটা মাস কেটে যাক সকলেই চাইছেন। তারপরই তো নতুন সাজে সেজে উৎসবে মেতে উঠতে হবে। সুতরাং খুব লম্বা সময় নেই। তাই এখন থেকেই শহরের বড় থেকে ছোট সব 🌳পুজো কমিটিই কাজ শুরু করে দিয়েছে। খুটি পুজো হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গায়। শারদোৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। শহরের নানা পুজো কমিটির বꦉ্যানারে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে দেখা যাবে টলি–বলির নানা নায়ক–নায়িকাদের ছবি। কিন্তু সোনাগাছির পুজোয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর কে? এই প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছেন অনেকে।
এদিকে প্রত্যেকবারই এই পুজꦅোয় ভাল ভিড় হয়। কিন্তু খুব একটা প্রচারের আলোয় আসে না। এই দুর্গাপুজো বেআইনিও নয়, নিষিদ্ধও নয়। কিন্তু পেশার জেরেই সমাজের মূলস্রোত থেকে একটু অন্তরালে থাকেন যৌনকর্মীরা। উৎসবও পালন করেন আড়ালে আবডালেই। তাই তো তাঁদের নির্দিষ্ট এলাকাকে ‘নিষিদ্ধপল্লী’ বলেন অনেকে। তবে দুর্গাপুজোর সময় অন্য সবার মতোই আনন্দে মেতে উঠেন যৌনকর্মীরাও। দুর্গাপুজো হয় সোনাগাছির নিষিদ্ধপল্লীতে। এই দুর্গাপুজোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হতে চায় না কেউ। তাই এবার যৌনকর্মীদের দুর্গাপুজোয় মুখ হচ্ছেন যৌনকর্মীরাই। তাই কুমোরটুলিতে হল ফটোশ্যুট।
অন্যদিকে সোনাগাছির দুর্গাপুজোর প্রচারও করবেন যৌনকর্মীরা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এবার এই দুর্গাপুজোর মণ্ডপে আগের থেকে বাড়তি ভিড় হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। যাঁদের পুজো তাঁরাই এবা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর। এই স্লোগানকে সামনে রেখেই চলবে প্রচার। এবার এই দুর্গাপুজোর পাশে এসে দাঁড়ালেন ‘অর্জুনপুর আমরা সবাই’ দুর্গাপ🥂ুজো কমিটির মহিলা সদস্যরা। কমিটির সদস্য মৌসুমী বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আসতেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়েছি। অনেকেই ওদের ঘৃণার চোখে দেখেছেন। আমরা নিজেদের ধন্য মনে করছি ওদের দুর্গাপুজোর পাশে দাঁড়াতে প🤡েরে।’
আরও পড়ুন: সস্তা হতে চলেছে ই❀লিশ মাছ, উৎসবের মরশুমে দেদার বিকোবে রূপোলি ফসল
আর কী জানা যাচ্ছে? এবার এই দুর্গাপুজো সাড়ম্বরে পালিত হবে। আগামী ৩০ অগস্ট সোনাগাছির নিষিদ্ধপল্লীতে দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর সেদিনই উদ্বোধন হবে ফ্লেক্স–ব্যানারের। ܫদুর্বার মহিলা সমিতির সভাপতি বিশাখা নস্কর বলেন, ‘সব দুর্গাপুজোর প্রচার হয় শহরজুড়ে পোস্টার ব্যানারের মধ্য দিয়ে। আমাদের স্বল্প সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে মনে হল, এবার এভাবেই আত্মপ্রকাশ করা উচিত। যার💧া আমাদের পাশে থাকেন আছেন এবং থাকবেন তাঁদের সবাইকেই ধন্যবাদ জানাই।’ এখন দেখার এই পৃথক আঙ্গিক কতটা আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।