দুর্গাপুজোর সময় পুজোমণ্ডপে শুধু ভিড় উপচে পড়েছিল বিষয়🍷টি এমন নয়। ভিড় উপচে পড়েছিল শিয়ালদা এবং হাওড়ার লোকাল ট্রেনে। উৎসবের সময় জেলা থেকে লোকাল ট্রেনে করে শহরে এসেছিলেন মানুষজন। শহরের দুর্গাপুজো দেখতেই ভিড় জমিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু দুর্গাপুজোর দিনে এই দুই ডিভিশন মিলিয়ে লোকাল ট্রেনে সফর করা মানুষজনের সংখ্যা যে কোটি ছাড়িয়ে যাবে সেটা রেলের অফিসাররাও আঁচ করতে পারেননি। পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দুই ডিভিশন মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি যাত্রী লোকাল ট্রেনে সফর করেছেন। তার মধ্যে শিয়ালদা ডিভিশনেই যাত্রী সংখ্যা ছিল এক কোটির বেশি।
কলকাতার দুর্গাপুজো দেখার ঢল যে কেমন বেড়েছিল সেটা এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট হয়। দুর্গাপুজোয় যে ভিড় বাড়বে সেটা অন্যান্যবার থেকেই আঁচ করেছিল রেল। কিন্তু সেটা কোটি ছাড়াবে আন্দাজ করেননি রেল কর্তৃপক্ষ। শিয়ালদা ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার 𓂃দীপক নিগম ভিড় বাড়বে বুঝতে পেরে নির্দেশ দেন, ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে এবং গ্যালপিং ট্রেন বন্ধ করতে। তারপর রাত ১২টা থেকে রাত ৩টের মধ্যে শিয়ালদা থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শাখায় ৯ জোড়া ট্রেন চালানো হয়েছে। এভাবেই দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে দিন–রাত লোকাল ট্রেনের পরিষেবা চালু ছিল।
আরও পড়ুন: রাজ্য সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা, সর্বাঙ্গীণ ধর্মঘটের ডাক
হাওড়া শাখার ক্ষেত্রেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০ লক্ষ যাত্রী সফর করেছেন। আর সেটা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। যেহেতু সারারাত লোকাল ট্রেন চলেছে তাই দুর্গাপুজোর অনেকে সকালে এসে রাতে বাড়ি ফিরেছেন। আবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এসে সারারাত প্যান্🌸ডেল হপিং করার পর কাকভোরে লোকাল ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরেছেন। দুর্গাপুজোর সময় হাওড়া–বর্ধমান কর্ড এবং মেন শাখার পাশাপাশি ব্যান্ডেল শাখাতেও বেশি রাত পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালিয়েছিল রেল।