মাঝে আর কয়েকটি দিন। ইতিমধ্যেই সেপ্টেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। তারপরই অক্টোবর মাস—অর্থাৎ দুর্গাপুজো। এখন এখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইছে বিজেপি। কলকাতায় দুর্গাপুজোর আয়োজনে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিপত্য দেখা আয়। এবার ভাগ বসাতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, মেয়র পারিষদ ও বিধায়ক দেবাশিস কুমারের নাম জড়িয়ে🉐 দুর্গাপ♏ুজোয়। কালী পুজো ও পোস্তার জগদ্ধাত্রী পুজোও তৃণমূলের দখলে। গণেশ পুজোতেও জড়িত তারা। এই অবস্থায় এবার নানা এলাকার ক্লাবের দুর্গাপুজোয় দলীয় নেতা–কর্মীদের অংশগ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
এদিকে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ দুর্গাপুজোর প্রধান মুখ উত্তর কলকাতায়। ২০২১ সালে এই দুর্🌜গাপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০২২ সালে উদ্বোধন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার কারা উদ্বোধন করবেন? উঠছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর,দুর্গাপুজো෴র আগে বা পরে রাজ্যে আসার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তাঁদের চূড়ান্ত সফরসূচি দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। ২০২০ সালে পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে দুর্গাপুজো শুরু করে রাজ্য বিজেপি। কিন্তু সেটা দলের বাইরে বেরতে পারেনি। এবারও সেই দুর্গাপুজো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
তাহলে কী করবে বিজেপি? উত্তর কলকাতার ১৪টি দুর্গাপুজ🍸ো কমিটির সঙ্গে বিজেপির কথাবার্তা চলছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা রাজ্যে আসতে পারেন দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে। কলকাতায় অন্তত ২০টি গণেশ পুজোর সঙ্গে বিজেপি নেতারা যুক্ত আছেন। এই বিষয়ে বিজেপির উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘গণেশ পুজো, দুর্গাপুজো, কা🐈লীপুজোয় আমাদের কর্মীরা উদ্যোক্তা হিসেবে নানা পুজো কমিটিতে থাকবেন।’ আর দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্য নেতৃত্ব বলেছিলেন। কিন্তু এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি।’
আরও পড়ুন: দꦏীপেনের পাল্টা মিতালি, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের আগে দলবꦯদল বিজেপি–তৃণমূল নেতা–নেত্রীর
ঠিক কী বলছে তৃণমূল? অন্যদিকে নেতাদের দুর্গাপুজোর কাজ এখন♈ তুঙ্গে উঠেছে। সেখানে বিজেপি পরিকল্পনা করছে মাত্র। তার কতটা বাস্তবায়িত হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এবার আবার বিজেপির দুর্গাপুজোতে যেতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে এবং ক্লাবগুলির সঙ্গে যোগাযোগ থাকলে কাউকে হল ভাড়া করে পুজো করতে যেতে হয়? এখন নির্বাচনের আগে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু দুর্গাপুজোতে ঢোকার চেষ্টা করছে। তাও সেটা ধারেভাড়েই আসে না।’