বাংলার মাটি বাংলার জল। রবি ঠাকুরের লেখা গান। কিছুদিন আগে এই গানকেই রাজ্য় সংগীত বলে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই গানকেই ব্রিগেডে গাইলেন সিপিএমে যুব নেতা নেত্রীরা।একে তো ব্রিগেডের মঞ্চের পাশেই পতপত করে উড়ছে জাতীয় পতাকা। তার উপর আবার রাজ্য সংগীতকে গাইলেন যুব নেতা নেত্রীরা। বিজেপি নেতৃত্ব বলছে ফিস ফ্রাইয়ের গন্ধ বের হল ব্রিগেডে। আসলে সেই বামের সঙ্গে তৃণমূলের গোপন বোঝাপড়ার প্রসঙ্গ টানলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেই ফিস ফ্রাই খাওয়া নিয়ে খোঁচা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।তবে এদিন শূন্যস্থানে থাকা বামেদের ভরা ব্রিগেডে নতুন করে চর্চা উসকে দিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। যে গান রাজ্য সংগীত হিসাবে ঘোষণা করেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেই গান দিয়েই ব্রিগেড শুরু করলেন বামেরা।এনিয়ে সংবাদ মাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায় বলেন, দেশকে বাঁচানোর জন্য় আমরা নেমেছি। যে গানগুলিকে ওরা বিকৃত করছে সেই গানগুলিকে রক্ষা করা আমাদের কাজ।বামেদের যুব নেত্রী পৌলমী মজুমদার জানিয়েছেন, ধর্মীয় বিভেদের সময় এই গান লিখেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজকের দিনেও সেই প্রেক্ষাপট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।আর বাম নেতা বিমান বসু সংবাদমাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ওটা তিনি ( মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) লেখেননি। ওই গানটি তিনি লিখলে বলতে পারতেন সেটা তার গান।ক্ষমতায় নেই বামেরা। রাজ্যে জনপ্রতিনিধিও তলানিতে। তবুও এদিনের ব্রিগেডে উপচে উঠল ভিড়। ছাত্র যুবরা দলে দলে এলেন। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলেন ব্রিগেডে। ব্রিগেডের মঞ্চে এদিন দেখা গেল বামেদের যুব, তরুণ নেতা নেত্রীদের। আর মঞ্চের নীচে বসে থাকলেন বামেদের প্রবীণ নেতারা। দ্বন্দ্ব নয়, প্রবীন নেতারা দেখলেন কীভাবে লাল পতাকাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিলেন বামেদের ছাত্র যুবরা।তবে এদিন বামেদের ব্রিগেডের ভিড় দেখে চমকে গিয়েছেন অনেকেই। যে দলটার জনপ্রতিনিধির সংখ্য়া একেবারে তলানিতে। কিন্তু কীসের টানে এত মানুষ এলেন ব্রিগেডে?