শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড অংশে কাজের জন্য সোমবার থেকে কলকাতা মেট্রোর গ্রিন লাইন ২-তে পরিষেবার কিছুটা পরিবর্তন করা হচ্ছে। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত চলবে না মেট্রো। ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো চলবে। আর পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রো চালানো হবেꦜ বলে কলকাতা মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে। যেমন সকাল ৬ টা ৫৫ মিনিট 𝓀থেকে রাত ১০ টা মিনিট পর্যন্ত পরিষেবা মেলে, সেরকমভাবেই পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে মেট্রো চালানো হবে।
আর কী কী পরিবর্তন হচ্ছে?
১) ইস্ট-ও✤য়েস্ট মেট্রোর হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে রবিবার শুধুমাত্র পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে পরিষেবা চালু থাকবে। রবিবার দুপুর ২ টো ১৫ মিনিট থেকে রাত ৯ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো চলবে।
২) এখনের 🌞থেকে মতোই ১১ নভেম্বর থেকে রবিবার ৪৬টি মেট্রো চালানো হবে।
পূর্বমুখী ও পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গ
আপাতত পূর্বমুখী সুড়ঙ্গ দিয়ে সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্ক ডিপো থেকে হাওড়ার দিকে🃏 ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক নিয়ে যাওয়া যায়। সেটার কাজ প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গে কাজ এখনও বাকি আছে। সেখানে বিভিন্ন কাজ চলছে। ওই পশ্চিমমুখী সুড়ঙ্গের দুর্গা পিতুরি লেনের তলায় যে শাফট আছে, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) অনুমোদনের জন্য ওই শাফট পুরোপুরি তৈরি করতে হবে।
শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড অংশে মেট্রোর কাজ
এমনিতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো লাইনের (গ্রিন লাইন) হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ স্টেশনের দূরত্ব ১৬ কিলোমিটারের বেশি। আপাতত সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদার মধ্যে ৯.৪ কিমি এবং ⛦হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত ৪.৮ কিমি অংশে পরিষেবা চালু আছে। শুধু এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদার মধ্যে ২.৫ কিমি অংশে মেট্রো চলছে না। আর সেই কারণেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো অংশে পরিষেবা চালু করা যায়নি।
আর সেটার নেপথ্যে আছে বউবাজারের বিপর্যয়। মেট্রোর কাজের জন্য ২০১৯ সালে বউবাজারে প্রথমবার বিপর্যয় নেম🎀েছিল। পরবর্তীতে সেইসব ধাক্কা সামলে কাজ এগোচ্ছিল মেট্রোর। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর ফের বিপত্তি দেখা যায়। তার জেরে ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে শিয়ালদা থেকে এসপ্ল্যানেড অংশে মেট্রো চালানোর যে পরিকল্পনা ছিল, সেটা ভেস্তে গিয়েছে।
ওই অংশটা এতটাই সংবেদনশীল যে অত্যন্ত ধীরে-ধীরে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। আর যতদিন ও⭕ই অংশ তৈরি হচ্ছে, ততদিন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পুরো অংশে পরিষেবা চালু করা যাবে না।