প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মোবাইল ফোনটি ও ৪১ লক্ষ নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। অবশেষে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার মোবাইল ফোনটি অনলক করতে সফল হলেন তদন্তকারীরা। যার ফলে তদন্তকারীদের হাতে চলে♌ এল মন্ত্রীর সমস্ত ফোন কল ও চ্যাট হিস্ট্রি। এর ফলে এই দুর্নীতিতে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের নাম প্রকাশ্যে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
তল্লাশিতে উদ্ধার ফোন
গত ২২ মার্চ চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে টানা ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ED। এর পর মন্ত্রীর ফোন ও নগদ ৪১ লক্ষ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় ইডি। তবে ফোনের লক খুলতে না পারায় গত ২৭ মার্চ কলকাতায় ইডির দফতরে তলব করা হয় চন্দ্রনাথকে। কিন্তু সেদিন নিজে হাজির না দিয়ে এক প্র♎তিনিধিকে পাঠান চন্দ্রনাথ। তিনিই ফোনটি অনলক করে দেন। এর পর ফোনটি CFSLএ পরꦏীক্ষায় পাঠায় ইডি। জানা গিয়েছে, তা থেকে মন্ত্রীর চ্যাট হিস্ট্রি উদ্ধার করেছেন গোয়েন্দারা।
চন্দ্রনাথের বাড়িতে হয়েছিল তল্লাশি
গত ২২ মার্চ কাকভোরে চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়িতে যান ইডির আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তবে তখন মন্ত্রী বোলপুরের বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারই🎃য়ে। তাঁকে বোলপুরে ডেকে পাঠান ইডির গোয়েন্দারা। বেলা ১০টা নাগাদ মুরারই থেকে বোলপুরে পৌঁছন মন্ত্রী। এর পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাকে কোনও নোটিশ না দিয়েই ইডি এসেছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। সকালে ছেলে ফোন করে বলল, বাবা ইডি এসেছে। আজ ওর পরীক্ষা। খবর পেয়ে আমি বোলপুরে এলাম।’
ইডির আধিকারিকরা পৌঁছন খবর পেয়েই চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ির কাছে ভিড় করতে থাকেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। দুপুরে বোলপুর পুরসভার ১ নম্বর ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে ভিড় করেন জনা চল্লিশেক তৃণমূলকর্মী। বুঝিয়ে সুঝিয়ে কাজ না হওয়ায় তাদের লাঠি উঁচিয়ে তাড়িয়ে দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়💖🐼ানরা।
দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতে ইডি তল্লাশি নিয়ে নানা রকম জল্পনা ছড়ায়। রাত বাড়তে থাকলে জল্পনা বেগ পায়। কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে রাত ১০টা ৩০ মিনিট নাগাদ চন্দ্রনাথের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ED আধিকারিকরা। সাংবাদিকদের প্র🌼শ্নের উত্তরে ইডির তরফে জানানো হয়, একাধিক প্রশ্ন করা হলেও চন্দ্রনাথ সদুত্তর দেননি। এর পর মন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরোলে তাঁকে ইডি কী প্রশ্ন করেছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে চন্দ্রনাথ বলেন, সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।