সরকার পোষিত এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বহু স্কুল বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের স্কুলগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে একেবারে নয়া উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। পড়শি স্কুলের মাধ্যমে অন্য স্কুলের খামতি মেটানো হবে। এরফলে উপকৃত হবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়ারা। বিনিময় প্রথার মাধ্যমে স্কুলের খামতি মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে💫 স্কুলের পরিকাঠামোর উন্নতি না করলে তাতে স্কুলের খামতি কতটা মেটানো সম্ভব হবে তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।&nbs🔯p;
আরও পড়ুন: স্কুলের অন্দরে দেদার ব্যবহৃত কন্ডোমের🌊 হদিশ, বিদ্যালয় খুলতেই এমন দৃ𒅌শ্য
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০টি স্কুলকে নিয়ে একটি ক্লাস্টার তৈরি করা হবে। এর মধ্যে যে স্কুলের পরিকাঠামো সব চেয়ে বেশি উন্নত সেই স্কুলটিকেই প্রধান🃏 স্কুল হিসেবে ধরা হবে। এরপরে সেই স্কুলের পরিকাঠামো অন্যান্য স্কুলকে উন্নত করতে সাহায্য করবে।
কীভাবে কাজ করবে এই বিনিময় প্রথা?
শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১০টি স্কুলের মধ্যে যদি একটি স্কুলে অঙ্ক বিভাগের শিক্ষক না থাকে অথচ প্রধান স্কুলটিতে অঙ্ক বিভাগের শিক্ষক থাকেন তাহলে ওই শিক্ষক সেই স্কুলে পড়ুয়াদের অঙ্ক পড়াবেন। ঠিক একইভাবে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষক না থাকলেও স্কুলগুলি একে অপরের কাছ থেকে শিক্ষক নিয়ে পড়াতে পারবেন। এইভাবে স্কুলগুলি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে নিজেদের খামতি পূর🌄ণ করতে পারবে।
কলকাতার মধ্যে বেলগাছিয়া–দমদম এলাকার ১০টি স্কুলকে নিয়ে একটি লার্নিং হাব তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দমদম রোড গভার্নমেন্ট স্পনসর্ড হাই স্কুল ফর গার্লসকে প্রধান স্কুল হিসেবে ধরা হয়েছে। ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁদের স্কুলে পরিকাঠামো ভালো থাকায় তাদের প্রধান স্কুল হিসেবে ধরে হয়েছে। কোনও স্কুলে কোনও বিষয়ের শিক্ষক না থাকলে সংশ্লিষ্ট স্কুলে শিক্𝔍ষক শিক্ষিকাদের পাঠানো হচ্ছে বলে স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে। আবার ওই স্কুলের ল্যাবরেটরি ভালো হওয়ায় অন্য স্কুলের পড়ুয়াদের ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া, একাধিক স্কুলে বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বেলগাছিয়া মনোহর অ্যাকাডেমিকে বাংলা ও ইংরেজি নিয়ে পাঠ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই উৎসবে পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করে বাংলা ও ইংরেজি পাঠ্য বই পাঠ করার পাশাপাশি অঙ্কের ফর্মুলার নানা চার্ট তৈরি করেছে। এর ফলে পড়ুয়ারা যেমন উপকৃত হয়েছে তেমনি উৎসাহিত হয়েছে। এটা খুব ভালো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।