লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যে ৮ লক্ষ ভুয়ো ভোটার রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য বিজেপি। এ নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে আসা নির্বাচনের কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে ধমক খেতে হয়েছিল রাজ্য প্রশাসনকে। যদিও রাজ্য প্রশাসন প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিল এত সংখ্যক ভুয়ো ভোটার নেই। অবশেষে বিজেপির দাবি খারিজ করে দিল কমিশন। ভুয়ো ভোটার খতিয়ে দেখতে জেলাভিত্তিক আলাদা-আলাদাভাবে রিপোর্ট🅘 সংগ্রহ করে🐼ছে নির্বাচন কমিশন। তাতে দেখা গিয়েছে, বিজেপির অভিযোগের সঙ্গে বাস্তবের কোনও মিল নেই। এই অবস্থায় পালটা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ ‘তৃণমূল ভুয়ো ভোটার পাঠিয়েছিল’, গাড়ি থেকে ন꧂েমেܫ পাকড়াও করলেন জয়
সম্প্রতি বিজেপি’র পক্ষ থেকে মোট ১♊৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২ জনের একটি তালিকা রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছে জমা দেওয়া হয়। তাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, সংশোধিত ভোটার তালিকায় অনেক ভুয়ো ভোটারের নাম রয়েছে। বিজেপি’র অভিযোগের ভিত্তিতে ভুয়ো ভোটার খুঁজে বের করার জন্য প্রতিটি জেলা থেকেই রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই রিপোর্ট পাঠানো হয় দিল্লিতে। সেই রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে এত সংখ্যক ভুয়ো ভোটার থাকার বিজেপির অভিযোগ ঠিক নয়।
যেহেতু কমিশনের তত্ত্বাবধানে ভোটার তালিকা তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে এত সংখ্যক ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ প🎐াওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন কমিশনের কর্তারা। কারণ সেক্ষেত্রে কমিশনের গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এ নি𒆙য়ে যাতে কেউ প্রশ্ন করে তুলতে না পারে তার জন্য সিইও অফিসকে তড়িঘড়ি রিপোর্ট সংগ্রহ করার নির্দেশ দেয় কমিশন। এরপর জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়।
নির্বাচন কমিশনের তরফে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিজেপির তরফে ভুয়ো ভোটার থাকার অভিযোগ তোলা হলেও দেখা গিয়েছে তালিকায় একই নামে একাধিক ব্যক্তি রয়েছে। তবে তাঁরা বৈধ ভোটার। ওই আধিকারিক আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গের মতো একটি রাজ্যে অনেকের নাম এবং বা🎀বার নাম মিলে যায়। তা থেকে বিভ্রান্তি ছড়ায়।
এরপরেই বিজেপিকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, টেলিফোন ডাইরেক্টরি খুললেও একই নামে🦩র একাধিক ব্যক্তি পাওয়া যায়। ভোটার তালিকাতেও একই নামের একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে। তার মানে তারা ভুয𓄧়ো ভোটার নন। এসব বিজেপির বুলি ছাড়া আর কিছু নয়। যদিও বিজেপির বক্তব্য, শুধু নাম, বাবার নামই নয়, এমনকী বয়স এবং এপিক নম্বর পর্যন্ত মিলে গিয়েছে। তাই সেগুলি ভুয়ো। একই এপিক নম্বরে কীভাবে দুজন ব্যক্তি থাকতে পারে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।