ফিল্মি কায়দায় অভিযান চালিয়ে বড়বাজারেജর পোস্তায় ভেজাল পোস্ত তৈরির কারবার ধরে ফেলল কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ইবি)। ভুট্টার দানা মেশানো পোস্ত বিক্রি করে মোটা টাকা মুনাফা করছিল একদল অসাধু ব্যবসায়ী। এই জাল কারবারের পর্দা ফাঁস করার জন্য ইবির ইন্সপেক্টর (ফুড) জে কে দাঁ একজন শ্রমিকের ছদ্মবেশ নেন। ভেজাল পোস্ত তৈরির ওই কারখানা থেকে একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরায় তারা স্বীকার করেছে ভেজাল পোস্ত কারবারের কথা। ধৃতের নাম মণীশকুমার গুপ্ত। সে ওই কারখানার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিল। সেখান থেকে ৮৬ কেজি ভেজাল পোস্ত এবং ৭০ কেজি রামদানা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এই রামদানাই ভেজাল হিসেবে পোস্তর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়।
এই পুলিশ অফিসার উর্দি না পরে শ্রমিকের পোশাকে গিয়ে চাইলেন পোস্ত। দোকানের মালিকের কাছে পোস্ত দামও করলেন। আবার তার গুনগত মান নিয়েও প্রশ্ন করলেন অফিসার। আর যা তথ্য বিভিন্ন পোস্তর দাম ও গুনগত মান নিয়ে পেলেন তা শুনে কার্যত হতবাক পুলিশ। কিন্তু তখনও এই কারবারি বুঝতে 𓃲পারেনি যে সে পুলিশের জালে পা দিয়ে ফেলেছে। আর যখন জানলেন⭕ তখন তার আর কিছু করার ছিল না। কারণ জাল গুটিয়ে নিয়েছেন দাঁ বাবু।
কিভাবে করা হলো অপারেশন? ইবি সূত্রে খবর, পোস্তা এলাকায় ভেজাল পোস্তর কারবারের খবর আগে থেকেই ছিল ইবির কাছে। এদিন রীতিমতো 🐟আঁটঘাট বেঁধে অভিযানে নামে ইবি। ইবির ইন্সপেক্টর জে কে দাঁ মাথায় গামছা বেঁধে, স্যান্ডো গেঞ্জি পরে, খালি পায়ে গিয়ে হাজির হন ওই কারখানায়। প্রথমে পোস্ত কিনতে চাইলেও পরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান। আর ঢুকে পড়েন কারখানায়। কোথায়, কীভাবে ভেজাল মেশানো হচ্ছে, তা দেখে নেন। কিছুটা দূরেই পুলিশ অপেক্ষা করছিল। সবুজ সঙ্কেত পেতেই পুলিশও ঢুকে পড়ে সেখানে। পাকড়াও করা হয় ম্যানেজারকে।
দোকানের ভিতরে গিয়ে ভুট্টার দানা দেখতে পান তিনি। এখানে ভুট্টার দানা কেন? জানতে চাইলেই হয় পর্দা ফাঁস। পুলিশ অফিসারকে শুনতে হয়, কম দামে ভালো পোস্ত লাগলে এই ধরনের পোস্ত🌳ই মিলবে। তারপর আর দেরি 🧸না করে গ্রেফতার করা হয় ভেজাল পোস্তর কারবারিকে। এই পোস্ত কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালত পেশ করে পুলিশ। তাকে হেফাজতে চাইবে ইবি। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা, খাদ্যে ভেজাল–সহ একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে।