শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবারও ভোট দিতে পারলেন না রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। এনিয়ে মোট চারবার ভোট দিতে পারলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি কার্যত শয্যাশায়ী অবস্থায় রয়েছেন, চোখে ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না। অধিকাংশ সময়ই তাঁকে অক্সিজেন দিতে হয়। ভোট নিযꦑ়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখলেও নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় আক্ষেপ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর । তবে তার স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য এবং তার মেয়ে সুচেতনা ভট্টꦐাচার্য পাঠভবন হাইস্কুলের বুথে ভোট দিয়েছেন। বুদ্ধবাবু ভোট দিতে না পারায় আক্ষেপের সুর শোনা যায় করেন মীরা ভট্টাচার্যের কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘বুদ্ধবাবু শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে এখনও সবল রয়েছেন।’
শারীরিক অসুস্থতার কারণে ২০১৯-এর লোকসভা ভোট দিতে পারেননি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। একুশের বিধানসভা ভোটও দিতে পারেননি। কলকাতা পুরসভার ভোটও তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছ🦄ুদিন আগে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে তাঁর বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বালিগঞ্জ কেন্দ্রের সিপিআইএম ༒প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বুদ্ধদেব এবং তাঁর স্ত্রী দুজনে মিলে সায়রাকে আশীর্বাদ করেছেন।
পারিবারিক সূত্রে খবর, এখন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পুরোপুরি শয্যাশায়ী রয়েছেন। বিছানাতেও ঠিকমতো উঠে বসতে পারেন না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তিনি এখন তিনি ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনে আক্রান্ত। এই রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত চোখের রেটিনা শুকিয়ে যায়। ফলে ঠিকমতো দেখতে পান না রোগী। টিভি দেখা এমনকি খবরের কাগজ পড়তে গিয়েও সমস্যা হয় বুদ্ধবাবুর। সেই কারণে মাঝে মধ্যেই তাঁকে খবরের কাগজ পড়ে শোনান তাঁর স্ত্রী। তবে শারীরিক অসুস্থতা থাকলেও তাঁর মাথা এখনও পরিষ্কার রয়েছে ব🍰লে জানিয়েছেন মীরা ভট্টাচার্য। সেইসঙ্গে দলের সঙ্গে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।