গতকাল আরজি কর স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে একের পর প্রশ্নে বিদ্ধ হয় রাজ্য সরকার ও পুলিশ। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেন বর্ষীয়ান অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল। তবে শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশিকা আসার পর কুণাল ঘোষ, সাগরিকা ঘোষ, আইটি সেলের নেতা নীলাঞ্জন দাসরা দাবি করেন, আদালত রাজ্য সরকারের যুক্তিতে সন্তুষ্ট। তবে আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম সওয়াল জবাবের পর এবার গুরুতর সব প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন বিচারপতি মদন লকুর। এই ইস্যুতে এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'মৃতদেহ সৎকারের এত তাড়া কেন ছিল?' প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, 'তদন্তে এর প্রভাব পড়ত কি পড়ত না, তা পরের কথা। তবে অনেক সময়ই তো মৃতদেহ সংরক্ষণ করা হয়। এই ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়ো কেন হল? এভাবে দেহ সৎকার করা ভুল হয়েছিল।' (আরও পড়ুন: সন্দী🌼প ঘোকে কোনও পদেই বসানো হয়নি, বিতর্কের আবহে পালটা দাবি তৃণমূলের)
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের হয়ে লড়বেন ক♛বিতা, অবশেষে আইনজীবী পেল🐈েন আরজি কর কাণ্ডে ধৃত
এদিকে এর আগে গতকাল সুপ্রিম কোর্টও পুলিশি পদক্ষেপ এবং তদন্ত প্রক্রিয়💦া নিয়ে বারংবার প্রশ্ন তোলে। তবে শুনানির পর কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'তদন্ত নথিভুক্তিতে পুলিশের ভূমিকায় টাইম লাইন নিয𒈔়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছিল, যা নিয়ে শার্লক হোমসরা যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিলেন; রাজ্য সরকারের তরফে তার নথিসহ ব্যাখ্যায় সুপ্রিম কোর্ট সন্তুষ্ট। এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর আর কোনও অবকাশ নেই।'
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামা পড়ুয়া-শিক্ষকদের 'বাধ🎉া', আঙুল TMC-র দিকে
এর আগে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জে পারদিওয়ালা এই মামলায় পুলিশি ভূমিকায় অসন্তোষ প্রক𓄧াশ করে বলেছিলেন, 'আপনার রাজ্যে যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছে তেমনটা আমি আমার ৩০ বছরের কর্মজীবনে দেখিনি... প্রথম কথা, এ𝓰টা কি সত্য যে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ডায়েরি রেকর্ড করা হয়েছিল? দ্বিতীয়, এই নন-মেডিক্যাল সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট কে? তাঁর আচরণও খুব সন্দেহজনক, কেন তিনি এমন আচরণ করলেন?'
আরও পড়ুন: আরজি কর ইস্যুতে ২ স্কুলের মিছিলে 'না' পুলিশꦰের, চিঠি সুপ্রিম ও হাই কཧোর্টে
উল্লেখ্য, আরজি কর কꦇাণ্ডে মৃতদেহ দাহ করার পরে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এফআইআর করা হয়েছিল। এর আগে মৃত চিকিৎসকের সহকর্মী এবং সিনিয়ররা গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফির দাবি জানিয়েছিলেন। এদিকে শীর্ষ আদ𓆉ালতে রাজ্য সরকার জানায়, আরজি করের চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত হয়েছিল সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিটের মধ্যে।