আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে দিনের পর দিন ধরে আন্দোলনে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনও চলেছিল লাগাতার। তবে বার বারই প্রশ্ন উঠেছে এই আন্দোলন চালানোর জন্য সাধারণত বিপুল অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই বিপুল অর্থ আসছে কোথা থেকে? বুধবার জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এনিয়ে একটি তথ্য় পেশ করা হয়েছে। সেখানে সেই অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তাদের পেশ করা নথিতে দেখা যাচ্ছে অন্তত ১০৭জনের নাম রয়েছে সেই তালিকায়। তাদের মধ্য়ে কেউ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন, কেউ আবার দুহাজার কিংবা আড়াই হাজার টাকা করে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ টাকা তারা সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক মৃৃত্যু নিয়ে ব্যবসা করছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। বিচারের দাবিকে সামনে রেখে ডক্টরস ফ্রন্ট বিপুল অঙ্কের টাকা তুলেছে। কোনও হিসেব না দিয়ে সেই টাকা তারা যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করে চলেছে।সেকারণেই সেই জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে। এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এক্স স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনো বিপুল পরিমাণ টাকা তুলেছে বাজার থেকে। তারই একটি নথি তারা প্রকাশ করেছে। এদিকে সাধারণত মূল আন্দোলনের ক্ষেত্রে এতদিন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকেই দেখা যেত। কিন্তু এক্ষেত্রে আরজি কর ছাত্র সংসদের প্রাক্তনীদের কথা বলা হচ্ছে। আসলে অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, এই ফ্রন্ট আর প্রাক্তনী একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। একপক্ষ আর এক পক্ষের বি টিম। কিন্তু কেন এত বিপুল টাকা তারা তুলছে? অ্যাসোসিয়েশনের দাবি বড় কোনও অশান্তি পাকানোর মতলব তাদের রয়েছে। সেকারণে তারা এই বিপুল টাকা তুলতে শুরু করেছে। অবিলম্বে এনিয়ে সরকারের দেখা দরকার। না হলে বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। এদিকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে দীর্ঘ আন্দোলন করেছিল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট। সেখানে দেখা গিয়েছিল বহু সংগঠন, বহু সাধারণ মানুষ নিজেরা এসে ওই জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। বহু সাধারণ মানুষ তাদের কষ্টার্জিত টাকা তুলে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে। মূলত আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তারা অর্থ সহায়তা করেছেন।