একটি নার্সিংহোমে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার ছেলে। সেই মৃত্যুর ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন বাবা সুভাষ সরকার। কিন🅰্তু বারবার মামলা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিজেই মামলা লড়বেন। আর তাই ৭২ বছর বয়সে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাশ করেন সুভাষ সরকার। অবশেষে নিজেই মামলা লড়ে জয়ী হলেন তিনি।
অ🎀স্ত্রোপচারের পরেই মৃত্যু রোগীর, চিকিৎসায় গাফিলতির দায়ে ১০ লক্ষ টা𝓰কা জরিমানা
গত সেপ্টেম্বরে শেষ সপ্তাহে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সুভাষের ছেলে সপ্তর্ষি সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় গাফিলতির দায়ে নার্সিংহোমের দুই চিকিৎসককে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলাও রয়েছে আলিপুর আদালতে।ꦿ সেই মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন সুভাষ। এবার সেই মামলাটিও তিনি নিজে লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
যাꦦদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন সপ্তর্ষি সরকার। কিন্তু চাকরি করার সময় তিনি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। শেষে ২০১০ সালের অগস্টে তাঁকে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। ওই মাসে গড়িয়াহাট থানা ডোভার মেডিক্যাল সেন্টার নামে ওই নার্সিংহোমে আত্মঘাতী হয়েছিলেন সপ্তর্ষি।
এই ঘটনায় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলেন সুভাষ। পরে ৬৯ বছর ব♎য়সে তিনি আইন পড়া শুরু করেন। ২০১৯ সালে ৭২ বছর বয়সে আইন পাশ করে নিজেই মামলা লড়তে শুরু করেন। এই ম💧ামলায় অভিযুক্ত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যাবেন।