কালীপুজোর আগে আগামীকাল শনিবার থেকে কলকাতায় বৈধ বাজি বাজার বসছে। কিন্তু, বাজি পরীক্ষার কথা থাকলেও তা করতে পারল না কলকাতা পুলিশ।বৃহস্পতিবার বাজি পরীক্ষার জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। হাজির ছিল দমকলও। কিন্তু, গতবারের মতো এসে পৌঁছলেন না রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ (নিরি)- এর প্রতিনিধিরা। ফলে হল না বাজির পরীক্ষা। তবে বাজি পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণ হিসেবে কলকাতা পুলি💎শ ঘূর্ণিঝড় দানার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে।
বৃহস্পতিবার টালা পার্কে বাজি পরীক্ষার কথা ছিল। সেইমতো বাজি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন টালা পার্কে চারটি বাজি বাজার থেকে ২০টি বাজির নমুনা পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল। কিন্তু, কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও নিরির প্রতিনিধিরা না আসায় তাদের ফিরে যেতে হয়। এই অবস্থায় শনিবার থেকে শুরু হওয়া বৈধ বাজি বাজারে অবৈধ বাজি বিক্রি হওয়ার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। তবে জানা গিয়েছে,🤡 ২০টি বাজির নমুনা পুলিশ নিয়ে গিয়েছে। পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, শনিবার থেকে যদি বাজি বাজার বসে তাহলে সেই রিপোর্ট কবে আসবে? বাজি বাজার বসার পরে যদি রিপোর্ট আসে তাহলে সেই পরীক্ষার লাভ কী?যদিও নিরি বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিদের কেন দেখা গেল না তার উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, এ বার বাজির শব্দমাত্রা ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যে রাখার নিয়ম হয়েছে। তাই আলাদাভাবে বাজি পরীক্ষা করা হবে না বলেই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। তবে পরিবেশকর্মীরা আপত্তি জানিয়ে বলে বাইরে থেকে রাজ্যে বাজি ঢুকলে সেটা যে ১২৫ ডেসিবেলের মধ্যেই রয়েছে সেটা কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছে পুলিশ। তাই সেটাও পরীক্ষা করা উচিত। তাছাড়া এই সুযোগে অনেকেই আরও বেশি করে বেআইনি বাজি বিক্রি করতে পারে বলে অভিযোগ তোলেন। তারপরই বাজির পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে🌃ন পরিবেশকর্মীরা। এরপরই বাজি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় কলকা🥃তা পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত বছর বাজি পরীক্ষা করতে গিয়ে একাধিক সমস্যা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে নিরি-র কেউই উপস্থিত ছিলেন না। তাই এবার যাতে সেই সমস্যা না হয় তার চেষ্টায় ছিল কলকাতা পুলিশ। শেষ পর্যন্ত এবারও গতবারের মতো নিজের প্রতিনিধিরা বাজি পরীক্ষার সময় পৌঁছলেন না।