আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবীপক্ষের শুরু। তবে তার আগে শারদোৎসবের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ থেকে পুজো𒅌 উদ্বোধন করবেন। তবে মঙ্গলবার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবে গিয়ে উৎসবের উদ্ধোধনে করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর ভার্চুয়ালি আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া, বীরভূমের দুবরাজপুরের দু’টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধনও করেছেন। আর ৫০টি অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যুক্ত মোটরবাইকের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু ,পার্থ ভৌমিক, সুপ্তি পান্ডে, নির্মল ঘোষ ও কৃষ্ণা চক্রবর্তীরা। এখান থেকেই তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বন্যা পরিস্থিতির।
রাজ্যজুড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর তার জেরে গ্রামবাংলার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ এবং আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। আর আজ মহালয়া। তার প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি আদি গঙ্গা𒁃র পাশে থাকি ছোট থেকে। আজ বড় গঙ্গা দেখতে দেখতে এলাম। পুরো ভর্তি। আকাশের মুখটা পুরো গম্ভীর। মেঘলা আবহাওয়া। বুধবার মহালয়া। আবার সূর্যগ্রহণ আছে। তার একটা প্রভাব পড়ে। যদিও আমাদের এখানে দিন নয় রাত। অনেক জায়গায় দিন। সারা পৃথিবী জুড়ে হয় বলে এদিকেও পড়বে। তার প্রভাব শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে একগুচ্ছ আইপিএস বদল, নবান্নের রদবদলে নিরাপত্তায় বাড়তি জোর
এদিকে বন্যা দুর্গত মানুষদের জন্য রাজ্য সরকার যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সে কথাও বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের দলের নাম ব্যবহার না করে সরকারের তরফ থেকে নেওয়া হয় উদ্যোগ বলে জানান তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য,ﷺ ‘এবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা হয়েছে। আমি ত্রাণ দেওয়া থেকে শুরু করে সব করেছি। এবার আমরা দলের নাম ব্যবহার করিনি। সবটাই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে করার চেষ্টা🍃 করেছি। আমার অনেক সহকর্মীরা সাহায্য করেছেন। একটা জায়গায় কিচেন তৈরি করে খাবার দেওয়া যায়। আমরা চাল–ডাল–আলু–দুধের প্যাকেট সব দিয়ে প্যাকেট করিয়েছি। পার্থ ভৌমিক প্রথম ত্রাণ বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমি সেটা ঘাটালে পৌঁছে দিই পুলিশকে দিয়ে। বড় ২০০০ প্যাকেট দিয়েছে। ওইটা আমরা ভূতনীতে দিয়েছি। ঘাটাল–খানাকুলে ত্রাণ পাঠিয়েছি। হাওড়ার ছেলেমেয়েরা উদয়নারায়ণপুরে ত্রাণ দিয়েছে।’