রেশন দোকানে কি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র (বিএ꧅সকে) চালু হচ্ছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্যে। কারণ এমনই করতে চাইছে রাজ্য খাদ্য দফতর। আর এটা করতে চেয়ে এবার নবান্নে প্রস্তাবের ফাইল পাঠিয়েছে খাদ্য দফতর। এমনকী এই বিএসকে চালু হলে মানুষের কি কি উপকার হতে পারে সেটাও উল্লেখ করা হয়েছে। বিএসকে দিয়ে এখন রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ৩২৩টি পরিষেবা অনলাইনে মিলছে। তার জন্য কোনও টাকা লাগে না। রাজ্যজুড়ে এখন ৩৬০০টি বিএসকে রাজ্য সরকার নিজে চালায়।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরক𒁏ার একটি সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। তার হল— গোটা দেশে রেশন দোকানে কমন সার্ভিস সেন্টার চালানো হোক। কমন সার্ভিস সেন্টার থেকে কেন্দ্রের বিভিন্ন পরিষেবা অনলাইনে মেলে। তাই সেটা নিয়ে এখনও কোনও পরিকল্পনা নেয়নি রাজ্য ♐সরকার বলে সূত্রের খবর। তবে এই পরিষেবা পেতে হলে নির্ধারিত ফি দিতে হয়। এই ব্যবস্থা চালু করার জন্য রাজ্যগুলিকে আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু বাংলা–সহ কয়েকটি রাজ্যে এখনও এটি চালু করেনি। সেখানে বিএসকে অনুমোদিত হলে হাজার হাজার রেশন দোকানে তা চালু হবে।
অন্যদিকে খাদ্য দফতর সূত্রে খবর, বাংলার রেশন দোকানগুলিতে কমন সার্ভিস সেন্টার চালু করতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। পরিবর্তে বিএসকে চালুর প্রস্তাব পৌঁছে গিয়েছে নবান্নে। কমন সা🔥র্ভিস সেন্টার চালুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চাপ রয়েছে। এই পরিষেবার চাহিদা বুঝতে সমীক্ষা চায় কেন্দ্রীয় সরকার। তাই তারা রাজ্যের সাহায্যপ্রার্থী। সমীক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে রাজ্যের কোনও আপꦺত্তি নেই। কিন্তু চালু করার ক্ষেত্রে আপত্তি আছে। বরং বিএসকে চালুর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কোনও খরচ হবে না। তাই রেশন দোকানে বিএসকে চালুর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় সুরা🔥প্রেমীদের জন্য সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা💛 করল আবগারি দফতর
আর কী জানা যাচ্ছে? খাদ্য দফতর যে প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাতে বিএসকে গড়ে তুলতে পরিকাঠামো এবং পরিচালনার জন্য মাসিক খরচ রেশন ডিলারকে বহন করতে হবে। আর পরিষেবা প্ꦍরদান বাবদ নির্দিষ্ট হারে টাকা পাবেন রেশন ডিলাররা। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই পরিষেবা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এটা রেশন ডিলারদের কাছে কতটা লাভজনক হবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘আমরা চাই রেশন দোকান থেকে সিএসসি এবং বিএসকে দু’টি পরিষেবারই ব্যবস্থা করা হোক। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার অনলাইনে ব্যাঙ্কিং এবং ডাকঘর–সহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেছে।’