চাষিদের সুবিধার্থে তাদের কাছ থেকে প্রতিবারই সরাসরি ধান কিনে থাকে রাজ্য সরকার। আগামী খারিফ মরশুমেও চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবে সরকার। এই অবস্থায় আগামী মরশুমে তাদের কাছ থেকে কত পরিমাণ ধান কেনা হবে? সেই লক্ষ্যমাত্রা 🐼সরকারের তরফে স্থির করা হল। খাদ্য দফতরের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে অক্টোবর থেকে খারিফ মরশুমে (২০২৪-২৫) ৭০ লক্ষ টন ধান চাষিদের কাছে থেকে কেনা হবে। এর পাশাপাশি রাইস মিল গুলিকেও এবার নিয়ম মানতে হবে বলে বৈঠকে জোর দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি খারিফ মরশুমেও ধান কেনার লক্ষ্য মাত্রা ৭০ লক্ষ টন। তবে এখনও অবধি কেনা হয়েছে ৫১ লক্ষ টন ধান।
আরও পড়ুন: চাষিদের থেকে দ্বিগুণ ধান কেনার ෴জন্য নিয়ম বদল করল রাজ্য
জানা গিয়েছে, ꦉমঙ্গলবার খাদ্য দফতরের আধিকﷺারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন ধান ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থা। সেখানে ৭০ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা বিশেষ সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়টি এবার মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই এই পরিমাণ ধান কিনবে খাদ্য দফতর। যদিও অক্টোবর থেকে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে তবে আগে থেকেই সমস্ত প্রক্রিয়া সেরে রাখতে চাইছে খাদ্য দফতর।
এদিকে, ধান কিনে চাল তৈরির জন্য যে সমস্ত রাইস মিলগুলিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে সেগুলির তালিকাভুক্ত ক🎀রার কাজও অগস্টের মধ্যেই সেরে ফেলতে চাইছে খাদ্য দফতর। উল্লেখ্য, খাদ্য দফতরের নির্দেশ ছিল রাইস মিলগুলি সরকারের কাছ থেকে যে পরিমাণ ধান নেবে সেই অনুযায়ী ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা রাখতে হবে। কিন্তু, অনেক রাইস মিল তা করেনি। এই অবস্থায় আগামী মরশুমে সেটা হবে না সে বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে খাদ্য দফতর। কড়া ভাষাই দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, যে পরিমাণ ধান নেওয়া হবে সেই পরিমাণ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি রাইস মিলগুলিকে জমা রাখতে হবে।
শুধু তাই নয়, একাধিক রাইস মিল রয়েছে যেগুলি খাদ্য দফতরের অনলাইনে তথ্য নেই সেগুলিতে গিয🍬়ে খাদ্য দফতর তদন্ত করতে পারে। একই সঙ্গে ধান কেনার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলিকেও বেশকিছু নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। এ বিষয়ে রাইস মিল মালিকদের সংগঠন খাদ্য দ✅ফতরকে সমর্থন করেছে। নিয়ম বহির্ভূত কোনও কাজ হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সে বিষয়টিও জানিয়েছে সংগঠন।