স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারীর পরে লাভের মুখ দেখেনি ব্যবসা। আর সেইসব বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের🎉 সঙ্গে কথা বলতে আচমকা নবান্নে চলে এলেন এক ব্যক্তি। আগেভাগে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অ্যাপয়েন্টমেন্ট’ না নেওয়া থাকায় তাঁকে স্বভাবতই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নবান্নের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসাররা বোঝাতে থাকেন যে ‘মুখ্যমন্ত্রীর তো নিরাপত্তার একটা ব্যাপার আছে। এর๊কমভাবে কাউকে ঢুকতে দেওয়া যায় না।’ যদিও নিজের গোঁ ধরে রাখেন ব্যক্তি। তর্ক জুড়ে দেন পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে। তাতে অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। তাঁকে নবান্নের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের সমস্যার কথা বলতে এসে আরও একটা নয়া বিপদে পড়ে যান। তাঁকে আটক করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে আপাতত বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।
লকডাউনের সময় থেকে ব্যবসায় মন্দা, দাবি সমিরুলের
আপাতত যা খবর মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে ওই ব্যক্তির নাম শেখ সমিরুল। বয়স ৩০-র মাঝামাঝি। হাওডারই বাঁকড়া এল𓆏াকায় বাড়ꦐি। সমিরুল দাবি করেছেন যে তাঁর কাপড়ের ব্যবসা আছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময় যে লকডাউন হয়েছিল, তার জেরে ধাক্কা খেয়েছিল ব্যবসা। লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলেও ব্যবসা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। হতে থাকে লোকসান। চলতে থাকে মন্দা।
স্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন, দাবি সমিরুলের
তারইমধ্যে স্ত্রীও তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সমিরুল। সূত্রের খবর, সমিরুল দাবি করেছেন যে পারিবারিক জীবনেও অশান্তি শুরু হয়েছিল। সেই অশান্তির জেরে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন সমিরুল। সেই প🎐রিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের সমস্যার কথা বলতেই আচমকা নবান্নে এসে হাজির হন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি।
মুখ্যমন্ত্রী কি জানেন সমিরুলের কথা?
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সমিরুলের আপাতত দেখা হয়নি। তাঁকে পাকড়াও করে নিয়ে গিয়েছে শিবপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, তাঁকে জিজ্ঞাস🍸াবাদ করা হচ্ছে। ত🍸বে মুখ্যমন্ত্রী ওই ব্যক্তির কীর্তির বিষয়ে জানেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যিনি নবান্নে বৈঠক করেন। নবান্ন সভাঘরেই সেই বৈঠক ছিল।