আদালতের নির্দেশের পরেই রাজ্যের একের পর এক উপাচার্যরা পদত্যাগ করেছেন। কিন🐟্তু, এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ব🐼বিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পাল এখনও পদত্যাগ করেননি। সম্প্রতি এ নিয়ে উপাচার্যের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য সিভি আনন্দ বোস। আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করেই রাজ্যপাল ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন কেন এখনও উপাচার্য পদত্যাগ করেননি। আর এবার স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একেবারে সরানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল। এরফলে বলাই যায় রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত আরও বাড়ল।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল কি শিক্ষায় হস্তক্ষেপ করতে পারেন, জানতে সুপ্রিম কোর্টের পথে ব্রাত্🌳য
প্রসঙ্গত, সুহৃতা পালকে কয়েকদিন আগেই সরানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজভবন। তবে আজ শুক্রবার সেই খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে রাজ্যপালের বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যের ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য ন🧔িয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। তারপর থেকেই রাজ্যপালের সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে শিক্ষা দফতরের। এইভাবে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগকে মেনে নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপালের নিয়োগ করা অস্থায়ী উপাচার্যদের স্বীকৃতি দেবে না রাজ্য সরকার। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই উপাচার্যকে নিয়োগ করছেন।
কিছুদিন আগে একটি সভায় শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। তাছাড়া, সম্প্রতি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সল্টলেক ক্যাম্পাসে অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। এদিকে, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য গৌতম মজুমদার এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিতাভ দত্ত পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের নিয়োগ কর🎃েছিলেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যপালকে নিশানা করে বলেছেন, তিনি নিজের ইচ্ছামত কাজ করছেন। বাইরের রাজ্য থেকে উপাচার্য নিয়োগ করছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে ইউজিসির প্রতিনিধিত্ব ছিল। কিন্তু ২০১৩ সালে আইন সংশোধনের পর সেই কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ইউজিসির প্রতিনিধিকে। তার পরিবর্তে রাজ্য সরকারের মনোনীত ব্যক্তি, রাজ্যপඣালের মনোনীত ব্যক্তি, উচ্চ শিক্ষা দফতরের চেয়ারপার্সন, স্বাস্থ্য সচিব, মেডিক🦄্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে নিয়ে নতুন সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। সেই নতুন সার্চ কমিটি সুহৃতা পালকে উপাচার্য হিসেবে বেছে নিয়েছে।