💛 নয়াদিল্লিতে গিয়ে বঙ্গভবনে না উঠে নৌসেনার গেস্ট হাউজে উঠেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। আগে রাজ্যপাল যখন নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন তখন বঙ্গভবনেই উঠেছিলেন। কিন্তু এবার কোথায় সমস্যা হল? উঠেছে প্রশ্ন। এবার নয়াদিল্লি থেকে ভিডিয়ো বার্তায় জবাব দিলেন রাজ্যপাল। তাঁর কথায়, বঙ্গভবনের খারাপ অবস্থার জেরেই সেখানে রাতে থাকা গেল না। রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী উদ্যোগী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এটা রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন পদক্ষেপ রাজ্যপালের বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। তবে বোস ফোঁস করছেন আমলাদের দিকেই।
🐬এদিকে বঙ্গভবন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করার পর সেখানে সবটা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘আমি বঙ্গভবনে থাকিনি। তার কারণ খুব সহজ। জায়গাটা ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করুন। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে রাখুন। কিন্তু বঙ্গভবনের সৌন্দর্যায়নের নামে ফালতু টাকা ব্যবহার করবেন না। মন্ত্রী এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলেছেন। সেটা জেনে আমি খুশি হয়েছি। নিচুতলার আধিকারিকদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করা উচিত। তার জন্য পূর্তমন্ত্রীকে বিরক্ত করা কাজের কথা নয়। কিছু আধিকারিকের হেলেদুলে চলার মানসিকতা দূর করতে হবে। তাঁদের জন্যই মন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।’
꧒অন্যদিকে সূত্রের খবর, বঙ্গভবনে সরকারি অফিসারদের গতবার নয়াদিল্লি সফরে এসে রাজ্যপাল তাঁর থাকার ঘরে কিছু পরিবর্তন করতে বলেছিলেন। কী পরিবর্তন করতে হবে, সেটা নিয়ে একটি চিঠি চেয়েছিলেন অফিসাররা। রাজ্যপালকে জানানো হয় তিনি চাইলে সরাসরি সেই চিঠি পিডব্লিউডি দফতরকেও দিতে পারেন। কিন্তু রাজ্যপালের অফিস থেকে কোন চিঠি আসেনি। মৌখিক আবেদনে সরকারি কাজে টাকা অনুমোদন হয় না অফিসাররা জানান। তাঁর মতামত উল্লেখ করে রাজ্যপালের অফিস থেকে চিঠি এলেই কাজ করিয়ে দেওয়া যেত। সেটা আসেনি, তাই হয়নি।
আরও পড়ুন: ဣজুনপুট সৈকতে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপন করবে ডিআরডিও, মৎস্যজীবীরা ক্ষতির আশঙ্কায়
🔥এছাড়া এতকিছুর পরও রাজ্যপাল পূর্তমন্ত্রীর সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। রাজভবন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন আনন্দ বোস। দু’জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। পরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বাংলার রাজ্যপাল। তারপর একটি ভিডিয়ো বার্তায় বাংলার মানুষের উদ্দেশে রাজ্যপাল বলেন, ‘বাংলার মানুষকে ন্যায় পাইয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করছে।’ এটা অবশ্য বকেয়া পাওনার বিষয়ে তাঁর বক্তব্য। আর রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি দ্রুত এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।