আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা। এবার রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ–সহ ১২টি বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তথ্য চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্য পুলিশ ফোর্সে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট। আজ, বুধবার রাজভবন মিডিয়া সেলের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি বিবৃতি জারি করে ১২টি নির্দিষ🌼্ট বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে জানতে চাওয়া হয়েছে, ২০২১ সাল থেকে কতজন সিভিক ভলান্টিয়ার কাজ করছেন, তাঁদের বেতন বাবগ মোট কত টাকা খরচ, সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে আইনি অনুমোদন আছে কিনা, কোন সরকারি অর্ডারের ভিত্তিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছিল, কোন নিয়মে নিয়োগ করা হয়, কাজে যোগদানের পূর্বে কোন নিয়মে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়, কোন বিভাগের কাজের জন্য তাঁদের মোতায়েন করা🔜 হয়, কর্মসংস্থানের সময়কাল, রাজ্য সরকারি দফতরগুলিতে মোট অনুমোদিত পদের সংখ্যা এবং কতগুলি পদ শূন্য রয়েছে, মুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কতজন সরকারি কর্মচারীকে নিয়োগ করা হয়েছে এবং স্থায়ী কর্মীদের পদ এখনও কেন শূন্য রয়েছে?
আরও পড়ুন: জগদম্বিকার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া জোট, কড়া সমালোচনা করলেন ডিএমকে সাংসদ
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা বাংলা। এই অপরাধের জন্য সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। সেই মূল অভিযুক্ত। সিবিআইও চার্জশিটে তাই বলেছে। আর তাই এবার রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করলেন রাজ্যপাল। ওই বিবৃতিতে রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োಞগ নিয়ে বেশ কয়েকটি ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যাচাই না করে নিয়োগের অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যপাল। এমনকী এই নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে বলে রাজ্যপাল দাবি করেছেন।